করোনাভাইরাসের বিষয়ে আগেভাগেই জানত চিনা সরকার। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। আর তা লুকানোর পরিকল্পনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও (হু) যোগ ছিল। এমনই অভিযোগ করলেন চিনা ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান।
সুরক্ষার জন্য আমেরিকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া মেং আগেই অভিযোগ করেছিলেন, উহানের গবেষণাগারেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। যা নিয়ন্ত্রণ করে চিনা সরকার।একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, জনসমক্ষে ঘোষণা করার আগে থেকেই করোনার সংক্রমণের বিষয়ে জানত চিনা সরকার।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে ‘হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’-এর 'ভাইরোলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি' বিশেষজ্ঞ স্পষ্টতই বলেন, ‘সার্স-কোভ-২ হল মানুষের তৈরি ভাইরাস।’ সেই সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন। আর উহানের যে বাজার থেকে করোনা ছড়িয়েছে বলে বেজিংয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, তা আদতে চোখে ধুলো দেওয়ার উপায় হিসেবে ব্যবহার করেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি।
মেংয়ের অভিযোগ, শুধু চিন নয়, করোনা সংক্রমণের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার পরিকল্পনায় সামিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। গত ১১ সেপ্টেম্বরও মার্কিন মুলুকের একটি গোপন জায়গা থেকে ব্রিটিশ টক শো'র সাক্ষাৎকারে কার্যত একই অভিযোগ করেছিলেন মেং। তিনি জানিয়েছিলেন, গত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির গোড়ার মধ্যে চিনে 'নয়া নিউমোনিয়া'-র উপর দুটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। সেই গবেষণার ফল নিজের উর্ধ্বতন আধিকারিককে দিয়েছিলেন। যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) পরামর্শদাতা। মেং আশা করেছিলেন, ‘চিনা সরকার এবং হু’র তরফে ঠিক কাজ করা হবে।' সেই কাজ করা তো হয়নি, উলটে তাঁকে 'চুপ থাকতে বলা হয়, নাহলে গায়েব করে দেওয়া হবে বলা হয়' বলে অভিযোগ মেংয়ের।
চিনা ভাইরোলজিস্ট জানান, আমেরিকায় চলে গেলেও চিনের সেই রক্তচক্ষু এখনও চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইবার হানা চালানো হচ্ছে। চিনে তাঁর পরিবারকেও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মেং।