কেরালার একাংশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ। শুক্রবার একথা স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের উপকূলবর্তী দুটি গ্রামে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
তিরুবনন্তপুরমের পরিস্থিতি অত্যন্ত 'গুরুতর' বলে বিজয়ন বলেন, ‘পুনথুরা এবং পুল্লুভিলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।’ পুনথুরায় ৫০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ২৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পুলুভিলায় ৫৭ জনের মধ্যে ২৮ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। যাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাঁদের কোনও নির্দিষ্ট যোগের কারণে বেছে নেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রমাণ। অর্থাৎ র্যাপিড টেস্টে ৫০ শতাংশের বেশি আক্রান্তের হদিশ মিলবে এবং এখন যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
বিজয়ন জানিয়েছেন, শনিবার থেকে উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে ট্রিপল লকডাউন লাগু হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘উপকূলবর্তী এলাকাগুলি সংকটজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন। দ্রুত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থতির মোকাবিলায় আমাদের যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে। ’
সেই খবরের মধ্যেই শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে আরও একবার রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ৭৯১ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১,০৬৬। মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। সেরে উঠেছেন ৪,৯৭১ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হওয়া সত্ত্বেও কেরালায় নমুনা পরীক্ষার হার দেশের অন্যতম কম। এখনও পর্যন্ত মাত্র চার লাখ টেস্ট করিয়েছে কেরালা। তাও সম্প্রতি কিছুটা টেস্টিং বেড়েছে।
তবে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধির জন্য আমজনতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন বিজয়ন। তিনি দাবি করেন, স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। আর মানুষের অবহেলার জন্যই তা হচ্ছে বলেন বিজয়ন। তিনি বলেন, ‘এখনও যা ধারা, তাতে রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে বছরের শেষ হয়ে যাবে বলে ধারণা।’