নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে ১৬৮টি ট্রেন বাতিল করল ভারতীয় রেল। বাতিল হয়ে যাওয়া টিকিটের জন্য যাত্রীদের ক্যানসেলেশন চার্জ দিতে হবে না।
সংক্রামক Covid-19 রুখতে নিরাপত্তামূলক উদ্যোগ হিসেবে তিনটি বাদে রেলভাড়ায় ছাড় সাময়িকভাবে তুলে দিল রেল মন্ত্রক। এর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক যাত্রীদের টিকিটের দামে নির্ধারিত ছাড়ও। প্রবীণ নাগরিকদের রেলভ্রমণ আপাতত বন্ধ রাখার উদ্দেশেই এই পদক্ষেপ, জানিয়েছে রেল। তবে চালু রাখা হয়েছে ছাত্র, রোগী ও বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের রেলভাড়ায় ছাড়।
Covid-19 এর বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এবং যাত্রীসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করে রেল দফতর। বৃহস্পতিবার রাতে বাতিল হয়েছে আরও ৮৪টি ট্রেন, যার ফলে মোট বাতিল হওয়া ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৮। মার্চের ২০-৩১ পর্যন্ত এই ট্রেনগুলি চলাচল করবে না বলে জানানো হয়েছে। বাতিল হয়ে যাওয়া ট্রেনের টিকিট বাবদ যাত্রীদের ১০০% টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ধরা হবে না কোনও ক্যানসেলেশন চার্জ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ৫ জোড়া ট্রেন বাতিল করেছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। বাতিল হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলি হল:
• ১২৮৮২ পুরী-হাওড়া দ্বিসাপ্তাহিক গরিব রথ এক্সপ্রেস (২৩,২৫,৩০ মার্চ, ২০২০)
• ১২৮৮১ হাওড়া-পুরী দ্বিসাপ্তাহিক গরিব রথ এক্সপ্রেস (২৪,২৬,৩১ মার্চ, ২০২০)
• ১২৮৩১ ধানবাদ-ভুবনেশ্বর গরিব রথ এক্সপ্রেস (২১-৩০ মার্চ, ২০২০)
• ১২৮৩২ ভুবনেশ্বর-ধানবাদ গরিব রথ এক্সপ্রেস (২০-৩১ মার্চ, ২০২০)
• ১২২৮১ ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস (২৫ মার্চ, ২০২০)
• ১২২৮২ নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর দুরন্ত এক্সপ্রেস (২৬ মার্চ, ২০২০)
• ১২২৭৭ হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস (২০-৩১ মার্চ, ২০২০)
• ১২২৭৮ পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস (২০-৩১ মার্চ, ২০২০)
• ২২৭০৭ বিশাখাপত্তনম-তিরুপতি এক্সপ্রেস (২১-৩০ মার্চ, ২০২০)
• ২২৭০৮ তিরুপতি-বিশাখাপত্তনম এক্সপ্রেস (২০-২৯ মার্চ, ২০২০)
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে বাতিল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে অনাবশ্যক রেলযাত্রা থেকে যাত্রীদের বিরচত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ট্রেন বাতিলের ঘোষণা প্রত্যেক টিকিটধারী যাত্রীকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দফতরের এক আধিকারিক।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে রেলের প্রত্যেক আঞ্চলিক প্রধান দফতরে কর্মরত কেটারিং কর্মীদের জন্য নিয়মাবলীর তালিকা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, যে কোনওএ কর্মী জ্বর, কাশি, সর্দি বা শ্বাসকষ্টে ভুগলে অবিলম্বে তাঁকে ভারতীয় রেলে খাদ্য সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।