দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘরেফেরা শ্রমিকদের প্রস্তুত হয়েছে রাজ্য সরকারগুলি। প্রধান সমস্যা দেখা দিয়েছে একলাফে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা। এর মধ্যে নিজেদের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ওডিশা, উত্তর প্রদেশ ও বিহার প্রশাসন।
সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে বিহার সরকার। ছুটি বাতিল করা হয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
ওডিশায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনের পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আবশ্যিক ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা খুলে রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষেত্রে এবং ৪,২০০ অতিরিক্ত আইসোলেশন শয্যা তৈরি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশ প্রশাসন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন রাখার নিয়ম জারি করার পাশাপাশি প্রতিটি আক্রান্ত পরিবারকে ১৫ দিন খাদ্যশস্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা হাসপাতচালগুলিতে বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারকে ১৫ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন রাখাকালীন রান্না করা খাবার সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেই সহ্গে এই সমস্ত পরিবারকে বিনামূল্যোে অত্যবশকীয় পণ্যও রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উদ্দেশে শুক্রবার বিশেষ শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালায় ভারতীয় রেল। শনিবার আরও কয়েকটি ট্রেন কমপক্ষে ১০টি রাজ্য থেকে শ্রমিকদের নিয়ে যাতায়াত করে।
উত্তর প্রদেশে ফেরৎ আসা কমপক্ষে ৭ পরিযায়ী শ্রমিকের শরীরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ ধরা পড়েছে। বিহারের মাত্র একটি জেলাতেই ১৩ জন শ্রমিক করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফিরে আসা ২০ জন শ্রমিক করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছেন ওডিশায়।