বিশ্বের ১৮৮টি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫,০০,৪৭৬ এবং সংক্রমণের জেরে মৃতের সংখ্যা আপাতত ৩,০৪,৮৩৫। শুক্রবার রাত ১১.৪৫ পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে এই তথ্য মিলেছে।
করোনি পজিটিভ রোগী ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে তালিকার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের দেশে আপাতত মোট আক্রান্ত ১৪,২৭,৮৬৭ জন। এর পরেই রয়েছে পুতিনের রাশিয়া, যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২,৬২,৮৪৩ জন। তৃতীয় স্থানে ব্রিটেন, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩৮,০০১। স্পেনে আক্রান্ত বর্তমানে ২,৩০,১৮৩ জন এবং ইতালিতে ২,২৩,৮৮৫ জন।
সম্প্রতি আমেরিকায় লাফিয়ে বেড়েছে Covid-19 এ মৃতের সংখ্যা। বিশ্বের সর্বোচ্চ ৮৬,৩৮৬টি করোনামৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে আমেরিকা। এর পরে ব্রিটেন, যেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৪,০৭৭। তার পরে যথাক্রমে ইতালিতে ৩১,৬১০, স্পেনে ২৭,৪৫৯ এবং ফ্রান্সে মারা গিয়েছেন ২৭,৪২৮ জন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের প্রতিষেধক টিকার পিছনে অর্থ বরাদ্দে কোনও আপস করছে না হোয়াইটহাউস। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর দেশে ১৪টি গবেষণার কাজ দ্রুত গতিতে চলেছে। তাঁর আশা, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই নতুন প্রতিষেধকের সন্ধান পাওয়া যাবে।
ব্রিটেনে করোনাভাইরাস পুনরুৎপাদনের হার আপাতত ০.৭% থেকে ১%, যা গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেশি। প্রধানমন্তচ্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, কত তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে দিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা যায়, তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ব্রিটেন।
শুক্রবার রাশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২,৬০,০০ এর বেশি। মস্কো শহরে বিমামূল্যে অ্যান্টিবডি টেস্টের সুবিধা দিচ্ছে পুতিন প্রশাসন, যদিও রাতারাতি রাশিয়ায় মারা গিয়েছেন ১১৩ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২,৪১৮-তে। ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৫৯৮ জন।
করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের থেকে ঋণ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন। উল্লেখ্য, সংকট মোকাবিলায় নিজস্ব ত্রাণ তহবিল থেকে ২৪০ লাখ কোটি ইউরো পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান।
এখনও পর্যন্ত ইতালি ও স্পেন মিলিয়ে প্রায় ৬০,০০০ জন মারা গিয়েছেন করোনা সংক্রমণে। এর জেরে চলতি বছরে দজুই দেশে প্রায় ৯% এর বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।