হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হলে মানতে হবে কিছু শর্ত। নেওয়া যাক বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন থাকার নিয়মাবলী।
বাড়ির সব সদস্যই যেন বাইরে না বেরোন, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া চলবে না পরিচিত বা অপরিচিত কাউকে।
কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, বাড়ির একজন মাত্র সাবালক সদস্য তাঁর দেখাশোনা করবেন, সবাই নয়। যিনি রোগীর দেখাশোনা করবেন, তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এর কারণ, সন্তানসম্ভবার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটলে তা আরও জটিল রূপ ধারণ করতে পারে।
অসুস্থ ব্যক্তিকে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের থেকে তফাতে রাখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তাঁকে তাঁর শোওয়ার ঘরে আটকে রাখা দরকার। ঘর ছেড়ে বেরোলেও অন্যদের থেকে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব তাঁকে বজায় রাখতে হবে এবং সব সময় মুখে মাস্ক পরে থাকতে হবে।
অসুস্থ ব্যক্তি যাতে একটি আলাদা শৌচাগার ব্যবহার করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
অসুস্থ ব্যক্তির ব্যবহার করা জিনিসপত্র অন্যদের ছোঁওয়া থেকে দূরে রাখতে হবে। তাঁর জন্য আলাদা সাবান, তোয়ালে বা গামছা, খাওয়ার আলাদা বাসনপত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁর টুথব্রাশ ও চিরুনি আলাদা জায়গায় রাখতে হবে।
অসুস্থ ব্যক্তির ছোঁওয়া লাগা সমস্ত জায়গা নিয়মিত ভাবে কীটনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
অসুস্থ ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে হবে। সামান্য অবনতি হলেই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, বাড়িতে থাকার সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথার মতো অস্বস্তি হচ্ছে কি না।
বাড়ির সব সদস্যকে ঝুঁকি এড়াতে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
নজর রাখতে হবে, অসুস্থ ব্যক্তি যেন যথেষ্ট বিশ্রাম নেন, প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করেন।