দিল্লি থেকে নিজেদের রাজ্যে ফেরার জন্য আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ।এই নিয়ে বিজেপি ও আম আদমি পার্টির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, আনন্দ বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশগামী বাস মিলবে, এই গুজব রটিয়ে শ্রমিকদের সেখানে আনা হয়েছে। অন্য দিকে মনীশ সিসোধিয়া বলেছেন, নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি এই সংকটের সময়ে। এবার পরিস্থিতি সামলাতে টুইটারে বার্তা দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল়। হিন্দিতে কেজরিওয়াল পরিযায়ী শ্রমিকদের বলেন যে আপনারা কোথাও যাবেন না, যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে।
প্রধানমন্ত্রী আগে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের বলেছিলেন যে তাঁরা যেন এই পরিস্থিতিতে কোথাও না যান। সেই আপিলের কথা মনে করিয়ে কেজরিওয়াল বলেন যে যদি কোনও শ্রমিকের করোনাভাইরাস পজিটিভ থাকে, তাহলে তাঁর সঙ্গে গ্রামে সেই ভাইরাস চলে যাবে। ভারতের প্রান্তে প্রান্তে গ্রামে যদি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে পরিস্থিতি খুবই সঙ্গীন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংকে চুলোয় রেখে আনন্দ বিহার বাস স্ট্যান্ডে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হন নিজেদের ভিটেয় ফেরার জন্য। দিল্লি সরকার দৈনিক চার লক্ষ মানুষের খাদ্য সংস্থান করছেন তারা। কিন্তু তারপরেও করোনার জেরে লকডাউন হওয়া রাজধানীতে থাকতে নারাজ পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই বিপদের মুহূর্তে নিজের ভিটের চেনা পরিবেশে ফিরতে ইচ্ছুক সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষরা।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৯, দিল্লিতে ৩৯জনে শরীরে করোনাভাইরাসের চিহ্ন মিলেছে।