দীর্ঘ লকডাউন এবং সংক্রমণের ভীতির জেরে গত কয়েক মাসে অনেকেই এটিএম কিয়স্ক এড়িয়ে চলেছেন। পরিবর্তে চাহিদা বাড়ছে আধার-ভিত্তিক পেমেন্ট ব্যবস্থার (AePS) এবং পয়েন্ট অফ সেল (PoS) টার্মিনাল থেকে নগদ তোলায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে সম্প্রতি এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে এটিএম থেকে টাকা তোলার হার মার্চের তুলনায় ৪৭% কমে দাঁড়ায় ২৮.৬০ কোটিতে। একই সময় AePS থেকে নগদ তোলার হার দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৭০ কোটি। সেই সঙ্গে PoS টার্মিনাল থেকে নগদ তোলার হারও ২১% বেড়ে হয়েছে ৪ লাখে।
এ যাবৎ কালে দেখা গিয়েছে, এটিএম-এর তুলনায় বিকল্প নগদ সংগ্রহ ব্যবস্থার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন সাধারণত সমাজের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া স্তরের মানুষ। কিন্তু করোনা সংক্রমণের প্রকোপে এটিএম ছেড়ে বর্তমানে এই বিকল্প ব্যবস্থার দিকেই ঝুঁকছেন অধিকাংশ নাগরিক। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের নানান অনুদান ও সাহায্য পেতে প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই ব্যবস্থাগুলি অনেক বেশি সহায়ক।
এগুলি ছাড়াও ভারত পেট্রোলিয়াম নিগম লিমিটেড-এর গ্রাহক সংযোগকারী সংস্থা ফিনো পেমেন্টস ব্যাঙ্কেও নগদ লেনদেনের হার বেড়েছে লকডাউনে। ফিনো-র চিফ একজিকিউটিভ ঋষি গুপ্তা জানিয়েছেন, লকডাউনের প্রথম ১৫ দিনে তাঁদের আউটলেটগুলিতে নগত তোলার হার কম হলেও ক্রমশ বাড়তে শুরু করে গ্রাহকের সংখ্যা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, গত মার্চ মাসে ৩ লাখ থাকলেও লকডাউনের প্রভাবে এপ্রিল মাসে ভারতের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা ২৩৬ কোটি ছুঁয়েছে।
সরকারি অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা নীতি আয়োগ-এর চিফ একজিকিউটিভ অমিতাভ কান্ত জানিয়েছেন, প্রতিদিন ১০০ কোটি ডিজিটাল লেনদেনের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে লকডাউনে নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়িতে ই-কমার্স পোর্টালের নতুন অর্ডার বাতিল হওয়ার ফলে ভারতের ডিজিটাল লেনদেন প্রক্রিয়ায় বড়সড় খামতি দেখা গিয়েছে। একমাত্র অত্যাবশ্যক পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্য বিক্রি না হওয়ার ফলেই এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।