করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় এসি-র ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল CPWD। নির্দেশিকায় বাড়ি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কী ভাবে বাতানুকূল যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, তা সবিস্তারে বলা হয়েছে।
সদ্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ‘দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার ইঞ্জিনিয়ার্স’ (ISHRAE) নির্দেশিত নিয়মাবলী উদ্ধৃত করেছে CPWD। ওই নিয়মাবলী অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের সময় বাড়িতে ২৪-৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বজায় রেখে এসি চালানো উচিত। সেই সঙ্গে আর্দ্রতার মাত্রা রাখতে হবে ৪০-৭০%। এ ছড়া বাড়ির সমস্ত ঘরে যেন যথেষ্ট বাতাস চলাচল করতে পারে, খেয়াল রাখতে হবে সেই কথাও।
আরও পড়ুন: এসি চললে বাড়ে করোনা সংক্রমণ! জানুন আসল তথ্য
বাড়ির সিলিং ফ্যানগুলি চালানোর সময় জানলা আংশিক খুলে রাখা উচিত। ঘরে একজস্ট ফ্যান থাকলে সিলিং ফ্যান চালানোর সময় তা চালু রাখতে হবে। আর্দ্রতার কথা মাথায় রাখতে হবে এয়ার কুলার চালালেও।
বাণিজ্যিক স্থানে আউটডোর এসি ব্যবস্থা থাকা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে, বাতাসের চাপ যথাযথ রাখতে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় নিষ্কাষিত হাওয়া ও টাটকা হাওয়ার অনুপাত যেন ৭০:৮০ থাকে।
লকডাউনে অধিকাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ প্রতিষ্ঠানের বাতানুকূল স্থানগুলি থেকে জীবাণু সংক্রমণের বেশি আশঙ্কা থাকে। খেয়াল রাখতে হবে এসি ডাক্ট ও কোলা জায়গায় যাতে ছত্রাক বা শ্যাওলা না গজায়।
আরও পড়ুন: এসি-র হাওয়ায় ছড়াল করোনা, ৯ জন আক্রান্ত হলেও বাঁচলেন অন্যরা! জানুন কেন
দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার ফলে ওই সমস্ত জায়গায় পাখি ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর বিষ্ঠা জমতে পারে। সেই কারণে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাটকা বাতাস জোগান দিতে সমস্যায় পড়তে পারে এসি। তাই এসি চালু করার আগে সমস্ত ডাক্ট, পাইপলাইন, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি সাফসুতরো করে রাখার নির্দেশ রয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।
এই নিয়মাবলী তৈরি করেছেন ISHRAE-এর টাস্ক ফোর্স, যাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, নির্মাতা এবং বিভিন্ন সংলগ্ন ক্ষেত্রে কাজ করা বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের জন্যভই তৈরি করা হয়েছে নিয়মাবলী।