মঙ্গলবার রাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে করোনার মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউনে চলে যাবে দেশ। এটাকে কার্যত কার্ফু হিসাবে গণ্য করতে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন যে করোনাভাইরাসের উপদ্রব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং। এই কারণে তিন সপ্তাহ ঘরে থাকতেই হবে। কিন্তু এই ঘোষণার পরেই শুরু হয় আতঙ্ক। শহরে শহরে লম্বা লাইন পড়ে মুদির দোকান, ওষুধের দোকানের সামনে তিন সপ্তাহের মতো মাল কেনার জন্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যদিও আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েই দিয়েছিল যে লকডাউনের আওতার বাইরে কী কী আছে। তার মধ্যে সমস্ত জরুরি পরিষেবা ও অত্যাবশ্যক পণ্যকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বহু জায়গায় তবুও ছিল উত্কন্ঠা, যে বাস্তবে কী হবে।এরপরেই টুইটারে আশ্বাসবাণী দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে কোনও আতঙ্কের কারণ নেই, অত্যাবশ্যক পণ্য, ওষুধ সবই পাওয়া যাবে। একসঙ্গে ভিড় করে করোনা সংক্রমণের সুযোগ আরও বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এটা নিশ্চিত করবে যাতে সবাই অত্যাবশ্যক পণ্য পান বলে জানিয়েছেন মোদী। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশে রাজ্য সরকার বলেছে গাড়ি করে গিয়ে মানুষদের নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আসা হবে।
করোনাভাইরাসে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৬, মারা গিয়েছেন ১১ জন।