নাগাড়ে সাত দিন ভারতে দৈনিক নতুন কোভিড সংক্রমণ সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে থাকল, যার জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭,৭৩,৪৭৯। এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
এই মুহূর্তে ভারতে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৮০,৭১৯।
গত পাঁচ সপ্তাহল ধরে দেশে দৈনিক নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা অক্টোবর মাসের গোড়ায় ৭৩,০০০ হলেও ক্রমাগত হ্রাস পেয়ে বর্তমানে কমে ৪৯,০০০ এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নতুন রোগীর সংখ্যায় ক্রমাবনতি ইঙ্গিত করছে, মানুষের মধ্যে Covid-19 রোধকারী অভ্যাস তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশাবলী মেনে চলা হচ্ছে। গত পাঁচ সপ্তাহে দৈনিক নতুন সংক্রমণের হার উল্লেখজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।’
বলা হয়েছে, ‘এই প্রবণতা সংক্রমণমুক্তির হারও বাড়িয়ে বর্তমানে ৯৩.০৫% করেছে। মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা এখন ৮১,৬৩,৫৭২। সুস্থ ও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার মধ্যে ব্যবধান বেড়ে টসলেছে এবং টানা ৪২ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের হার কমছে।’
শুধু তাই নয়, নতুন সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর মধ্যে ৭৫.৩৮% ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রকশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা। নতুন সংক্রমণের ক্ষেত্রেও ৭৬.৩৮% অবদান রয়েছে এই ১০ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের। এই তালিকায় রয়েছে দিল্লি, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, তামিল নাডু ও অন্ধ্র প্রদেশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্দরকের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন, ‘কয়েকটি রাজ্য ছাড়া দেশে অতিমারীর প্রকোপ বর্তমানে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে তাই জেনে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। কঠোর ভাবে মেনে চলা দরকার মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো অভ্যাস। ভাইরাস সংক্রমণ চক্র রুখতে এই প্রতক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি।’
তাঁর পরামর্শ, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে তাপমাত্রা কমতে শুরুকরে বলে অনেক বেশি সতর্ক থাকা দরকার। অন্যথায় ফের লাগামছাড়া বাড়তে পারে কোভিড সংক্রমণের হার।’