Covid-19 সংক্রমণ রোধ করতে শুধুমাত্র তাপমাত্রা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আর্দ্রতার। বৃষ্টি হলে সংক্রমণের হার আদৌ কমবে কি না, তাই নিয়ে পর্যালোচনায় ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা। আশার আলো ভারতেও।
২২ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা জানতে পেরেছেন, সংক্রমণের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে তাপমাত্রা এবং চূড়ান্ত আর্দ্রতার।
চূড়ান্ত আর্দ্রতা মাপা হয় প্রতি বর্গ মিটারে বাতাসে উপস্থিত জলকণার পরিমাণ বিচার করে। দেখা গিয়েছে, ৯০% সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া গিয়েছে সেই সমস্ত অঞ্চল থেকে যেখানে তাপমাত্রা ৩-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং চূড়ান্ত আর্দ্রতার পরিমাণ প্রতি কিউবিক মিটারে ৪-৯ গ্রাম।
ম্যাসাচুসেটসের গবেষকদের দাবি, আর্দ্রতার উপস্থিতি না থাকায় গ্রীষ্মের আগমনে তাপমাত্রা বাড়লেও শুকনো এলাকায় সংক্রমণের হার আদৌ কমবে কি না সন্দেহ। আবহাওয়ার দরুণ গ্রীষ্মে সংক্রমণের হার কমার সম্ভাবনা সীমাবদ্ধ রয়েছে উত্তর ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চল, আমেরিকার উত্তরাঞ্চল ও কানাডায়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মার্চের ১১ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে যে সমস্ত দেশে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির বেশি থেকেছে, সেখানে আচমকা সংক্রমণের হার মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। এই কারণেই ভারতে প্রাথমিক পর্যায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে। তুলনায় যে সমস্ত দেশে তাপমাত্রা ৮-১২ ডিগ্রির মধ্যে থেকেছে, সেখানে সংক্রমণের হার আরও বেশি।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাযুক্ত অঞ্চলে গত সপ্তাহে ১০ হাজার নতুন সংক্রমণের ঘটনা জীবাণুর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ নয়।’
বলা হয়েছে, ‘2019-nCoV (করোনাভাইরাস) সংক্রমণের সাম্প্রতিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমরা বলতে পারি, গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সংক্রমণের হার কম থাকার অন্যতম কারণ উচ্চ তাপমান এবং আর্দ্রতা। এই আবহে ভাইরাস সংক্রমণের হার শ্লথ হতে দেখা গিয়েছে।’
তাহলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ঠিক কী? গবেষকরা জানিয়েছেন, বর্ষা এলে সংক্রমণের গতিবেগ কমলেও এই মুহূর্তে সেই আশায় ভরসা রাখা উচিত হবে না। আগামী দিনে সংক্রমণের হার কমবে না ধরে নিয়েই প্রশাসনকে পদক্ষেপ করতে হবে, মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।