ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬৪৯। মারা গিয়েছেন কমপক্ষে ১৩জন। প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই প্রবেশ করেছে করোনা। অনেক সময় জানা যাচ্ছে না, কী করে সেটি এল রোগীর শরীরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে যে করোনাভাইরাসের স্টেজ ৩, অর্থাত্ কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে, এমনটা হলফ করে বলা যেতে না। প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধির হারও কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।
এই প্রথম সরকারি স্তরে বলা হল যে ২১দিন ব্যাপী লকডাউনের কিছুটা সুফল হয়তো দেখতে শুরু করেছে দেশ। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তা এটাও বলেন যে এটা একটা প্রাথমিক ট্রেন্ড। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন যে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে তার কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই।
লকডাউন ঠিক করে মানলে করোনার চেইনকে ভাঙা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সরকার ও মানুষের মধ্যে সমন্বয় যদি সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বজায় রাখা না যায় তাহলে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে যাবে বলে লব সতর্ক করেন। প্রসঙ্গত ইতালি সহ বিভিন্ন দেশে এখন কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে, যেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে সংখ্যা বাড়ছে। কম্যুনিটি ট্রান্সমিশনের অর্থ হল যখন জনবসতিতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, কোনও ভাবেই বোঝা যায় না কার থেকে করোনা এসেছে।
প্রসঙ্গত আজই কলকাতায় একটি কেস উঠে এসেছে যেখানে বৃদ্ধ কোথাও বাইরে যান নি। তাই কোথা থেকে এল কেউ জানে না। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করলেও, চিন্তা থেকেই যায়।