এদিন করোনা রোগীদের চিকিত্সা ও মৃতদের সত্কারের বিষয় নিয়ে ওঠা মামলায় বাংলা সহ চার রাজ্য ও কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিশান ও এমআর শাহের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করছিল।
একটা সময় অশোক ভূষণ বলেন যে জন্তুদের চেয়েও কোভিড রোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকার যে যথাপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি, সেই কথা তুলে ধরেন বিচারপতিরা।
কেন রাজধানীতে টেস্টিং কমেছে সেই প্রশ্নও করেন তাঁরা। বিচরপতি ভূষণ বলেন যে আমরা জীবিতদের নিয়ে বেশি চিন্তিত। হাসপাতালগুলির কী অবস্থা। ওয়ার্ডে মৃতদেহ পড়ে আছে। মুম্বইয়ে দিনে ১৭ হাজার টেস্ট হচ্ছে দিল্লিতে হচ্ছে সাত হাজার। এই বিষয়টি মিডিয়া তুলে ধরেছে বলেও জানান তিনি। অনেক রাজ্যে গার্বেজ বিনে মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে মৃতরা শুয়ে আছে জীবন্ত রোগীদের সঙ্গে। অনেক জায়গায় দড়ি দিয়ে মৃতদের টানা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তখন বিচারপতি শাহ বলেন যে আপনারা কী করছেন?
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে যে চূড়ান্ত অব্যবস্থা উঠে এসেছে, সেই কথা উল্লেখ করেন বিচারপতিরা। করোনা পরীক্ষা বাড়াতেই হবে, এর ওপর জোর দেন বিচারপতিরা। বিচারপতি ভূষণ বলেন যে টেস্ট করার প্রক্রিয়া আরও সরল করতে হবে যাতে বেশিসংখ্যক করা যায়। যারা করোনা পরীক্ষা করাতে চাইছেন, কোনও অছিলায় তাদের ফেরানো যাবে না বলেও জানান তিনি।
আদালত বলে যে কীভাবে মৃতদেহ সত্কার করতে হবে, সেই সংক্রান্ত নিয়মাবলি কেন্দ্র জারি করেছে। কিন্তু কেউ সেটা মানছে না। অনেক সময় পরিবারের লোকই জানতে পারছেন না যে তাদের আত্মীয় মারা গিয়েছেন, বলে আদালত। কেন্দ্র ছাড়াও দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুকে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৭ তারিখ ফের শুনানি হবে।
দিল্লিতে বিনা চিকিত্সায় একজনের মৃত্যুর খবরের পর সুয়ো মোটো (নিজের থেকেই) এই মামলাটি শুরু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই নোটিস জারি করা হল বিভিন্ন সরকারকে।