করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে প্রবীণ ব্যক্তিদের ভোটদানের ক্ষেত্রে নয়া সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। জানানো হল, ৬৫ বছরের উর্ধ্বে ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। সেই সুবিধা পাবেন করোনা আক্রান্ত এবং করোনায় সংক্রমিত সন্দেহে বাড়িতে বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্য়ক্তিরাও। তবে হাসপাতালে ভরতি থাকা করোনা আক্রান্তরা সেই সুবিধা পাবেন না।
১৯৬১ সালের ভোট গ্রহণের নিয়মে সংশোধন করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। যা প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ গত ২৭ জুন ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল অরোরা জানিয়েছিলেন, জুনের পয়লা তারিখে সেই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে বিহারের বিধানসভা ভোটও পিছিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বরং প্রায় ৯৭,০০০ ভোটকেন্দ্রে সাত কোটির বেশি মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন, তার যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
সেই অনুযায়ী আগামী অক্টোবর-নভেম্বর বিহারে ভোট হওয়ার কথা। নির্বাচনী যজ্ঞে ভোটার এবং ভোটকর্মীদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। গ্লাভস, কাঠি দিয়ে ভোট দেওয়ার প্রস্তাবও ভেবেচিন্তে দেখা হচ্ছে। যাতে ইভিএম না ছুঁয়েই ভোট দেওয়া হয়। ভোটারের আঙুলে মার্কা মারার জন্য ব্যবহৃত কালি ডিসপোজেবল সিরিঞ্জের সাহায্যে প্রয়োগ করা, পোলিং অফিসারের টেবিলে কাচের পার্টিশন বসানোর মতো ব্যবস্থারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মাস্ক খুলে ভোটারের মুখ দেখার সময় যাতে সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকে, সেই কারণেই এই ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে।