দেশের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাকালে একাধিক বার লকডাউন ও আনলকের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এবারের বৈঠকের মূল ইস্যু হল কীভাবে দেশে দ্বিতীয় ওয়েভ রোখা যায় ও সম্ভাব্য করোনা টিকার বণ্টন নিয়ে আলোচনা। যে সব রাজ্যে পরিস্থিতি কিছুটা ঘোরালো তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করছেন মোদী। এই রাজ্যগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড়, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং কেরালা।
বৈঠকের প্রথম অংশে করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের তিনটি টার্গেট দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।প্রথমত, রাজ্যদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে করোনায় মৃত্যুহার এক শতাংশের নিচে যেতে পারে। এছাড়াও কেস পজিটিভি রেট ৫ শতাংশের নিচে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট দেওয়া হয়। অর্থাৎ যাদের পরীক্ষা হবে, তাদের মধ্যে ৫ শতংশের বেশি যেন কোভিড পজিটিভ না হয়। কনটেনমেন্ট জোন ডায়নামিক করার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ডেটা অনুযায়ী নয়া কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা ঠিক করতে রাজ্যদের পরামর্শ দেন অমিত শাহ।
কিভাবে প্রায়োরিটি সেক্টরের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে, সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে বৈঠকরে দ্বিতীয় ভাগ। এছাড়াও পশ্চিম ও উত্তর ভারতে ফের বাড়ছে কেসের সংখ্যা। শীতের মরশুমে করোনার কামড় আরো মারাত্মক হতে পারে। সেই জন্য ইতিমধ্যেই আঁটঘাট বাধছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি।।
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, নীতি আয়োগের সদস্য তথা কেন্দ্রের কোভিড টাস্কফোর্সের প্রধান ভি কে পাল উপস্থিত আছেন। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের প্রয়াস ভিকে পাল মুখ্যমন্ত্রীদের ও প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন বল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া থেকেই এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। সোমবারই অমিত শাহকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে কেন্দ্রের কোভিড নীতিরও সমালোচনা করেন তিনি।
এদিন তিনি বলেন যে পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে মানুষ মাস্ক পরছে না বলে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন। এছাড়াও কেন্দ্রকে দ্রুত জিএসটি খাতে টাকা দিতে বলেন মমতা।