আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক। তার আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ও বরিষ্ঠ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটে বলা হয় এই মুহূর্তে কী অবস্থা ও করোনা মহামারীর জন্য লড়াইয়ে কতটা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তার রিভিউ করা হয়। বৈঠকে ছিলেন অমিত শাহ, হর্ষবর্ধন, ক্যাবেনেট সচিব, মুখ্যসচিব, আইসিএমআরের ডিজি প্রভৃতি।
দেশে করোনা আক্রান্ত তিন লাখের ওপর। শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত লাখের ওপর। দেশের রাজধানী দিল্লির অবস্থাও বিশেষ সুবিধার নয়। শুক্রবার এক দিনেই দিল্লিতে ২১৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী দুই মাসে কেসের সংখ্যা কত হতে পারে, তার জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে, সবই বৈঠকে আলোচনা হয়। মোদী বলেন যে শাহ ও হর্ষবর্ধন যেন দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে কেজরিওয়াল ও অনিল বইজালের সঙ্গে কথা বলেন। সেই মোতাবেক রবিবার বৈঠক হবে।
একটি ট্রেন্ড সারা দেশেই দেখা গিয়েছে যে বড় শহর যে সব রাজ্যে আছে, সেখানেই সংক্রমণের তীব্রতা অনেকটা বেশি। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কেস বড় শহর বিশিষ্ট রাজ্যে। করোনার যখন পিক আসবে তখন হাসপাতালে বেডের ব্য়বস্থা কীভাবে হবে সেই নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে সব রাজ্যে টেস্টিং বৃদ্ধি করার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
বর্ষাকাল শুরু হচ্ছে। অন্য মরশুমি রোগও আছে। হাসপাতালগুলিতে আরও চাপ বাড়বে। আগে ভাগে মন্ত্রককে তৈরী থাকার পরামর্শ দেন মোদী। এমপাওয়ার্ড গোষ্ঠীর সুপারিশ অনুযায়ী এমার্জেন্সি মেডিক্যাল প্ল্যানিং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে করতেও নির্দেশ দেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত যে সব সাফল্যের কাহিনি আছে সেগুলি ও কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, সেগুলি মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।