বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তি ফের মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এই সম্ভাবনা থেকে মুক্তির পথ এখনও মেলেনি। ভারতে পুনরায় সংক্রমণের ব্যাপারটি এখনও পরীক্ষা–নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। রবিবারের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘সানডে সংবাদ’–এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটি কোনও গুরুতর সমস্যা নয়।’
মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কথায়, ‘পুনরায় করোনা সংক্রমণের নিদর্শন শুধু ভারতে নয়, সারা দেশে দেখা দিচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে এবং এটি গুরুতর সমস্যা বলে মনে হচ্ছে না। তবে করোনা সংক্রমণের প্রতিটি দিক নিয়ে সক্রিয়ভাবে গবেষণা করা হচ্ছে। যদিও পুনরায় সংক্রমণের ঘটনা বর্তমানে নগণ্য।’
সম্প্রতি পুণের দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতাল দাবি করছে, তিন মাসের মধ্যে ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দ্বিতীয়বারের জন্য পজিটিভ এসেছে। জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য ওই চিকিৎসকের লালারসের নমুনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।
দীনানাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ পরীক্ষিৎ প্রয়াগ জানিয়েছেন, ১২ জুন ছত্তিশগড়ের রায়পুরে আরটি–পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে জানা যায় ওই চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত। ২২ জুন তাঁর ছুটির সময় ফের পরীক্ষা করা হলে সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ২৪ ঘণ্টা পর ফের তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তিনি যথারীতি কাজকর্ম করতেও শুরু করেন। কিছুদিন পরে গায়ে ব্যাথা–সহ ওই চিকিৎসকের কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এর পর শুক্রবার তাঁর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হলে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।’
অগস্ট মাসে ফের করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানী দিল্লির কিছু হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন করোনাজয়ীরা। দিল্লির সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ বি এল সেরওয়াল জানান, ভাইরাসটি কালচার না করা হলে বা জিন সিকোয়েন্সিং না হওয়া পর্যন্ত এটি অন্য প্রজাতির ভাইরাস কিনা সেটা নির্ধারণ করা কঠিন। তাঁর মতে, করোনাজয়ীরা ফের আক্রান্ত হতেই পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩৯–৪০ দিন আগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির দেহে ফের ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।