করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন ও বাস পরিষেবা বন্ধ ঘোষণা করল দিল্লি। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হচ্ছে সীমান্তের ১৯টি চেকপোস্ট।
একই সঙ্গে Covid-19 আক্রান্ত ইরান ও ইতালি থেকে ভাইরাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারের বিষয়ে তত্পর হল সরকার। চলতি সপ্তাহের শেষেই সেই উদ্দেশে দৈনিক অন্তত তিনটি উড়ান চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলাচলকারী সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ও বাস পরিষেবা মার্চের ১৫ তারিখ থেকে এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। যদিও পণ্যবাহী যানবাহনের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না।
সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাজারগুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
তবে করতারপুর করিডর ব্যবহার করে পাকিস্তানের গুরুদ্বারা দরবার সাহিবে তীর্থযাত্রা আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত না নিলেও বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০ তীর্থযাত্রী এই পথে পাকিস্তানে যাতায়াত করেন বলে জানা গিয়েছে। সপ্তাহান্তে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অনিল মালিক।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে সীমান্তের ৩৭টির মধ্যে শুধুমাত্র ১৯টি চেকপোস্টের মাধ্যমেই বিদেশি যাত্রীদের যাতায়াত অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। বিদেশিদের যথাযথ স্ক্রিনিং করার উদ্দেশেই এই ব্যবস্থা, জানিয়েছেন মালিক। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত এই চেকপোস্টগুলি রয়েছে অসম, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে।