করোনা সংক্রমণ দমাতে পারেনি তাঁর দৃঢ় সংকল্প। স্বপ্ন দেখেছিল, ২০২১-এর জয়েন্ট মেন পরীক্ষ শীর্ষস্থান দখল করার। তাই তো করোনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণে নিমজ্জিত হয়েছিল অসমের রঞ্জিম প্রবাল দাস। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল রঞ্জিমের শরীরে।
বর্তমানে দিল্লির বাসিন্দা রঞ্জিম সেই ৬ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজন, যে জেইই-মেনসে ১০০-য় ১০০-য় পেয়েছে। ৮ মার্চ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি জেইই-র ফলাফল ঘোষণা করে।
টেসলা ও স্পেসএক্স-এর সিইও ইলন মাস্কের অনুরাগী রঞ্জিম উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য দিল্লি আইআইটি-তে ভরতি হওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে জানায়, ‘আমি ইলন মাস্ককে অনুসরণ করি। উচ্চশিক্ষার জন্য আইআইটি দিল্লিতে ভরতি হতে চাই। তবে তা না-হলে সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশনের জন্য আমি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে ভরতি হব।’
শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কাটানো দিনগুলির বিষয় জানতে চাওয়া হলে রঞ্জিম জানায়, ‘আমার যখন করোনা ধরা পড়ে, তখন শুধুমাত্র সেড়ে ওঠার ওপরই জোর দিয়েছিলাম। জ্বর কমার সঙ্গে সঙ্গে আমি পড়াশোনা শুরু করে দিই।’
পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দিনে ৮ ঘণ্টা পড়ত সে। জানায়, ‘আমি সাধারণত দিনে ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। লক্ষ্য-ভিত্তিক পড়াশোনায় আমি বেশি জোর দিয়েছিলাম।’