ভিন রাজ্য থেকে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে হবে। নয়া এসওপি জারি করে এই ঘোষণা করল গোয়া।
রাজ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, 'আমরা এসওপির বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি এবং তাতে কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে যাত্রীদের তিনটি সুযোগ দেওয়া হত - ৪৮ ঘণ্টা আগে আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ) অনুমোদিত কোনও ল্যাবের করোনা মুক্ত সার্টিফিকেট দিতে হত, লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা বা পর্যবেক্ষণের মধ্যে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের থাকতে পারতেন যাত্রীরা। আমরা এখন তৃতীয় সুযোগটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন সবাইকে করোনা মুক্ত সার্টিফিকেট দিতে হবে বা করোনা পরীক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, মহারাষ্ট্র থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলবৎ হবে। পৃথক নিয়ম কার্যকর হবে না।
কী কারণে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, শুরুর দিকে অনুমান করা হয়েছিল যে প্রতিদিন রাজ্যে ৪,০০০ মানুষ ঢুকবেন। উড়ান পরিষেবা চালুর পর 'পরিমিত' সংখ্যক মানুষ রাজ্যে ঢোকা শুরু করেছেন। প্রথম দু'দিনে মাত্র ২০০ জন রাজ্যে এসেছেন।
সাওয়ান্ত বলেন, ‘বর্তমানে রেল ও সড়কপথে (প্রতিদিন) ১,০০০ মানুষ আসছেন। আমাদের দৈনন্দিন নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা ১,০০০। পরদিনই নমুনার ফল জানা যাবে। সেটা যদি ৪,০০০ জন হতেন, তাহলে প্রত্যেকের পরীক্ষার জন্য চারদিন সময় লাগত। তাই যদি সংখ্যা (রাজ্যে আগতদের সংখ্যা) বাড়ে, তাহলে আমরা (পুনরায়) চিন্তাভাবনা করব। গোয়া এখনও গ্রিন জোনে আছে।’
উল্লেখ্য, আপাতত তিনটি উড়ানে গোয়ায় ৯৪ জন এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জন ২,০০০ টাকা বিনিময়ে করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন।