বুধবার ভারতে কোভিড টেস্টের সংখ্যা ৬ কোটির গণ্ডি পেরোলো। কিন্তু ৯৭ হাজারের ওপর নয়া কেসের দৌলতে, অ্যাক্টিভ কেস দশ লক্ষ ছাড়াল, যা নিশ্চিত ভাবে সরকারকে চিন্তায় রাখবে। এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৫১ লক্ষের বেশি, মৃত্যু হয়েছে ৮৩ হাজার মানুষের।
আট মাসে ৬০৫৬৫৭২৮ বার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে । ২৩ জানুয়ারিতে পুনের এনআইভি-তে প্রথম কোভিড পরীক্ষা হয়। সেই একটি ল্যাব থেকে এখন দেশে ১৭৫১টি ল্যাব আছে, যার মধ্যে সরকারি হচ্ছে ১০৫৯টি। বাকিগুলি বেসরকারি উদ্যোগে চলছে।
আইসিএমআরের এক কর্তা জানিয়েছেন যে শুধু তারাই নন সরকারের অন্য সংস্থা যেমন ডিবিটি, ডিএসটি, ডিআরডিও সাহায্য করেছে দেশে টেস্টিং ফেসিলিটি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে।
এই মুহূর্তে দিনে প্রায় ১০ লক্ষ টেস্ট হচ্ছে ভারতে। গত তিন সপ্তাহ ধরে এই গড় অব্যাহত আছে। আরটি পিসিআর ও অ্যান্টিজেন, উভয় প্রকারের টেস্টই হচ্ছে এখন। মোট টেস্টের প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ এখন অ্যান্টিজেন। তবে অনেক সময়ই এতে ভুল ফল আসে। তাই করোনার উপসর্গ আছে কিন্তু অ্যান্টিজেন টেস্ট নেগেটিভ এলে তাদের ফের টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এই মুহূর্তে জাতীয় স্তরে পজিটিভিটি রেট ৮.৪ শতাংশ। কিন্তু মহারাষ্ট্র (২১.৫), অন্ধ্র (১২.৩) কর্নাটক (১২.১) ও আরো কিছু রাজ্য চিন্তা বাড়াচ্ছে। ওই সব রাজ্যে টেস্টিং আরো বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১০০৯৯৭৬, যেটা মোট কেসের ১৯.৭৩ শতাংশ। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৮.৬৪ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ ৪০২৫০৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৩১৯৮ জনের।
কেবল মহারাষ্ট্রেই প্রায় তিন লাখ অ্যাক্টিভ কেস। কর্নাটকে অ্যাক্টিভ কেস ১.০১ লাখ, অন্ধ্রে ৯০ হাজার, উত্তর প্রদেশে ৬৭ হাজার, বাংলায় ২৪ হাজার। মৃতের সংখ্যাতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র (৩০৮৮৩)। তারপরে আছে তামিলনাড়ু (৮৫৫৯) ও কর্নাটক (৭৫৩৬)। বাংলায় করোনাা পজিটিভ অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৪১২৩ জনের।