
Covid-19: করোনার বিরুদ্ধে নিরলস লড়াই, ৫২ দিন বাড়ি যাননি লখনউয়ের বৈজ্ঞানিক
১ মিনিটে পড়ুন . Updated: 27 Mar 2020, 07:15 PM ISTএকজোট হয়ে সংগ্রাম করোনাভাইরাস রোধে।
একজোট হয়ে সংগ্রাম করোনাভাইরাস রোধে।
এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪১। এদের অনেকেই রাজধানী লখনউয়ে গিয়েছেন চিকিত্সা ও নমুনা পরীক্ষার জন্য। সেখানকার অন্যতম বড় হাসপাতাল, কিং জর্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে (কেজিএমইউ) এখন কার্যত যুদ্ধকালীন তত্পরতা। করোনার বিরুদ্ধে একযোগে লড়ছে সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমনকী ল্যাবে কর্মরত বৈজ্ঞানিকরাও রীতিমত মাটি আঁকড়ে পড়ে আছেন করোনার প্রতিষেধক তৈরীর প্রচেষ্টায় ও করোনাভাইরাস পজিটিভ টেস্ট করার জন্য। এর মধ্যে একজন বৈজ্ঞানিক ৫২ দিন ধরে বাড়ি ফেরেননি!
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ১২৫০টি টেস্ট পরীক্ষা হয়েছে কেজিএমইউয়ে। হাসপাতালের মুখপাত্র সুধীর সিং বলেছেন যে প্রচন্ড রকম প্রিসিশনের প্রয়োজন একেবারে সঠিক পরীক্ষার জন্য, যেটির পর করোনা পজিটিভদের চিকিত্সা হতে পারে। শান্তনু প্রকাশ বলে এক বৈজ্ঞানিক জানিয়েছেন যে তিনি হাসপাতালে আছেন তেসরা ফেব্রুয়ারি থেকে। এমনকী হোলিতেও বাড়ি যাননি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন ভাবেই কাজ করতে হবে বলে তাঁর অভিমত।
গত তিন সপ্তাহ বাড়ি যাননি আরেক বৈজ্ঞানিক বৈজনাথ তিওয়ারি। তাঁর কথায় এটা শুধু চাকরি নয়। এটা একটা দায়িত্ব। নির্ভুল ভাবে তারা টেস্টিং করতে চান যাতে ফলাফল একেবারে নিঁখুত হয়। মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান অমিতা জৈন জানিয়েছেন যে সারা দিন-রাত খোলা BSL-3 ল্যাব এবং কর্মীরাও দিন-রাত এক করে কাজ করছেন নমুনাগুলি দ্রুত পরীক্ষা করার জন্য।
সবাই মিলে একযোগে কাজ করছে লখনউয়ের এই হাসপাতালে। পিএচডি স্নাতক রিচা মিশ্রা জানিয়েছেন যে তিনি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বানানোর কাজে যুক্ত দিতে চান। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে আরও কাজের চাপ বেড়েছে বলে জানান রিচা। অল্প সময়ের জন্য বাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলার পর ফের তাঁরা কাজে মন দিচ্ছেন। এমনভাবে নিরলস পরিশ্রম করে মানুষের সেবায় ব্রতী হয়েছেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা।