করোনাভাইরাসের অব্যর্থ ওযুধ চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করে ফেলেছেন বলে দাবি করলেন বেঙ্গালুরুর ক্যানসার চিকিৎসক বিশাল রাও। সপ্তাহশেষে তা পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিশাল রাও জানিয়েছেন, তাঁর চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হল Sars-Cov-2 ভাইরাস সংক্রমণের ফলে শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুজ্জীবিত করা। তবে তাঁর আবিষ্কৃত ওষুধটি যে টিকা নয়, তা খোলসা করেছেন রাও।
এএনআই-কে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা বিভিন্ন সাইটোকাইন্স-এর (cytokines) একটি মিশ্রণ তৈরি করেছি, যা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে Covid-19 আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করালে তাঁৎ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ফের চালু হয়ে যায়। তবে গবেষণা একেবারে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষে প্রথম সেট তৈরি সম্পূর্ণ হবে বলে মনে করছি।’
রাও জানিয়েছেন, সম্ভাব্য চিকিৎসার সুযোগ পেতে ইতিমধ্যে সরকারের কাছে তাঁরা আবেদনও জানিয়েছেন।
বেঙ্গালুরুর ক্যানসার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ভাইরাস বিনাশ করতে মানবদেহ একটি রাসায়নিক নিঃসরণ করে, কিন্তু করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সেই ক্ষমতা লোপ পায়। ফলে কর্মেই দুর্বল হয়ে পড়ে রোগীর শরীর। এই ইন্টারফেরন রাসায়নিকই রোগীর শরীরে ফের সক্রিয় করে তুলবে তাঁর আবিষ্কৃত ওষুধ, দাবি বিশাল রাওয়ের।
ওষুধ প্রস্তুতের পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ‘নিয়মিত পরীক্ষার জন্য আমরা যখন রোগীর দেহ থেকে রক্ত নিই, তাতে হলুদ রঙের একটি স্তর পাওয়া যায় যা থেকে কোষ বের করে ইন্টারফেরন তৈরি করা সম্ভব। এই দুই রসায়নের সঙ্গে অন্যান্য সাইটোকাইন্স মিশিয়ে এক নির্দিষ্ট মিশ্রণ তৈরি হয় যা Covid-19 রোগীর চিকিথসায় অব্যর্থ ফলদায়ী।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে ত্রাস সঞ্চার করা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টায় সক্রিয় হয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। রাওয়ের ওষুধ তাতে নয়া দিশা দেখাতে পারে কি না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।