লকডাউনের জেরে রাজধানীতে বিপাকে পড়া দিনমজুরদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তর প্রদেশ রাজ্য পরিবহন নিগমের (ইউপিএসআরটিসি) বাস শুক্রবার রাত থেকে প্রায় এক লক্ষ শ্রমিককে রাজ্যে ফিরিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ দিল্লির থেকে গিয়েছেন। শনিবার থিকথিক করছে ভিড় হওয়া দিল্লির আনন্দ বিহার ও কৌসম্বি অনেকটাই সাফ রবিবার। নিজেদের রুটি রোজগার ছেড়ে লকডাউনের জেরে নিজেদের ভিটের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
এখনও কিছু শ্রমিক দিল্লির লাল কুঁয়ায় আছেন ও তাঁদেরও রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এদিন ফের যত দিন বাড়ছে আনন্দ বিহারের কাছে লোক বাড়ছে যদিও মানুষকে জমায়েত করার থেকে আটকাচ্ছে পুলিশ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এদিন টুইটারে আবেদন করেছেন ভিনদেশী শ্রমিকদের দিল্লি না ত্যাগ করতে কারণ এতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় আছে।
অন্যদিকে হরিয়ানা থেকেও প্রায় ৫০০-৬০০ বাসে করে লখনউয়ের উদ্দেশে হাজার হাজার শ্রমিক নিয়ে আসছেন। এদের কাকোরির কাছে বাস থেকে নামানোর পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। অন্যদিকে লখনউ থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য প্রায় ৩০টি বাস রওয়ানা হয়ে গিয়েছে।
তবে উত্তরপ্রদেশে যারা আসছেন, তাদের থেকে যাতে করোনা না ছড়ায়, তার জন্য সচেষ্ট প্রশাসন। করোনা অ্যাকশন প্ল্যানের মোতাবেক ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্টেটদের বলা হয়েছে এটা দেখতে যে যারা বাড়ি ফিরছেন, তারা ১৪ দিনের জন্য বেরোবেন না। এর জন্য তাদের বাড়ির সামনে নোটিস দিয়ে আসবে স্থানীয় প্রশাসন। প্রায় ৬০০০০ গ্রাম প্রধানের কাছে এই বার্তাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কালোবাজারি রুখতেও প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলেছেন যোগী। বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য নোডাল অফিসার নিযুক্ত করছে উত্তরপ্রদেশ।