হাসপাতালে অশালীন আচরণ করায় তবলিগি জামাত থেকে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো ৬ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে যোগী সরকার। তাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের গায়ে থুতু দেওয়া, নার্সদের লক্ষ্য করে অশালীন ইঙ্গিত করা ও হাসপাতালে উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তবলিগি জামাতে অংশগ্রহণকারী ওই ব্যক্তিদের গাজিয়াবাদের হাসপাতালে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন গাজিয়াবাদের CMO. অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনে পদক্ষেপ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।
এই নির্দেশ দিয়ে আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘ওরা আইনও মানবে না, শৃঙ্খলাও মানবে না। ওরা মানবতার শত্রু। নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ওরা যে ব্যবহার করেছেন তা গর্হিত অপরাধ। আমরা ওদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন আইন প্রয়োগ করব। কাউকে ছাড়া হবে না।’ জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাক্টে যে কোনও ব্যক্তিকে সরকার এক বছর পর্যন্ত বিনা বিচারে বন্দি রাখতে পারে।
গাজিয়াবাদের MMG হাসপাতালের CMO পুলিশকে চিঠিতে লিখেছেন, তবলিগি জামাত থেকে আইসোলেশনে পাঠানো ৬ ব্যক্তি কোনও কথাই শুনছেন না। তাঁরা সংক্রমণ রোধের নিয়ম কানুন কিছুই মানছেন না। অশালীন মন্তব্য করছেন। হাসপাতালের কর্মীদের কাছে বিড়ি – সিগারেট চাইছেন। জামাকাপড় না পরে উলঙ্গ অবস্থায় হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকী নগ্ন হয়ে নাচানাচিও করছেন।
গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার. মণীষ শর্মা জানিয়েছেন, ‘গাজিয়াবাদ MMG হাসপাতালের CMO-র কাছ থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছি। তাতে তিনি কোয়ারেনটাইনে থাকা ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসভ্যতার অভিযোগ এনেছেন। হাসপাতালের নার্সদের সঙ্গে তাঁরা অসভ্যতা করেছেন বলে অভিযোগ। আমদের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।’
গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকজে তবলিগি জামাতে প্রায় ৩,৫০০ মুসলিম অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ১৩৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। ওই সমাবেশ থেকে অন্তত ৪০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।