বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Covid-19 Update: ১৩০০০০০০০০ মানুষের জন্য কটি ভেন্টিলেটর মজুত ভারতে?

যারা করোনায় আক্রান্ত হন, তাদের মধ্যে পাঁচ শতাংশকে আইসিইউতে পাঠানো হয় নিঃশ্বাসের কষ্টের জেরে। সেই কারণেই ভেন্টিলেটর প্রয়োজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য।

কিন্তু ১৩০ কোটির দেশে ঠিক কটি ভেন্টিলেটর আছে, যা প্রয়োজনে করোনা মোকাবিলায় লাগানো যাবে। হিসেব বলছে এই সংখ্যা মাত্র ৪০,০০০। দেশে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে, মৃত সাত। আগামী কয়েকদিনে কেমন থাকে সংখ্যা, তার ওপর নির্ভর করছে আদপে কতগুলি ভেন্টিলেটর লাগবে। কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকায়, যা দেখা যাচ্ছে, খুব দ্রুত রোগ ছড়িয়েছে ও বিপুল সংখ্যক মানুষ আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউয়ে ভর্তি হয়েছেন।

মানুষের ফুসফুসকে আক্রমণ করে করোনা। সেখানে আক্ষরিক অর্থেই জীবনদায়ী ভেন্টিলেটর যা শ্বাসনালির বাইরে একটি টিউবের মাধ্যমে ফুসফুসে হাওয়া পৌঁছায।Indian Society of Critical Care-এর প্রেসিডেন্ট ধ্রুব চোধুরী জানিয়েছেন যে দেশে হাতে গোনা ৪০ হাজার ভেন্টিলেটপ আছে ও অধিকাংশই সেগুলি বড় শহর ও মফস্বলে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় যেভাবে উন্নত মেডিক্যাল ব্যবস্থার ফলে করোনাকে কাবু করেছে, তা নেই আমাদের। চিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৫ শতাংশ মানুষকে আইসিইউয়ে ভর্তি করতে হয়েছিল, তার মধ্যে পাঁচ শতাংশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ইতালি ও ইরানে মৃত্যুর চড়া হারের অন্যতম কারণ আইসিইউয়ের অভাব।

ভারত এই মুহুর্তে ভেন্টিলেটরের রফতানি বন্ধ রেখেছে। প্রয়োজন না হলে সার্জারি করার ওপরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রয়োজনের থেকে অনেকটা কম পড়তে পারে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় বেসরকারি সাহায্য নিয়ে ভেন্টিলেটর বানানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

বর্তমানে ভেন্টিলেটরের দাম আট থেকে দশ লাখ টাকা। গতবছর সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৮৫১০ ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু কেনা নয় কীভাবে তা চালাতে হবে সেটা স্বাস্থ্যকর্মীদের বোঝানোও বড় চ্যালেঞ্জ।

সব মিলিয়ে আপাতত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের রণনীতি হচ্ছে করোনার ওপর যত দ্রুত সম্ভব কাবু পাওয়া যাতে কোনও অবস্থাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে না যায়।

বন্ধ করুন