মানুষের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শে ছড়ায় করোনাভাইরাস। তাই এটা খুবই প্রয়োজনীয় যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা জানান যে তাঁরা কাদের সঙ্গে ওঠাবসা করেছেন শেষ কয়েকদিনে। এটিকে বলা হয় কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং। কিন্তু কেরালার এক ব্যক্তি প্রশাসনের সঙ্গে সেসব তথ্য শেয়ার করছেন না।
রিপোর্ট অনুসারে এই ব্যক্তি সোনা পাচারকারী, এমনই সন্দেহ করছে পুলিশ। দুবাই থেকে কালিকাট বিমানবন্দরে নেমেছিলেন তিনি। তারপর এই কাসারগোডের ব্যক্তি কী করেছেন, সেটি নিয়ে ধোঁয়াসা। জানা গিয়েছে, কাসারগোদে এক সোনা পাচারকারী দলের সদস্য এই ৪৭ বছরের ব্যক্তি। কাস্টম ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে এই ব্যক্তির নাম সোনা পাচারকারীদের তালিকায় আছে। আগেও সে গাল্ফ দেশ থেকে মালপত্র বেআইনি ভাবে দেশে নিয়ে এসেছেন।
কাসারগোডে পঞ্চাশ সদস্যের সোনা পাচারকারী গ্যাংয়ের সদস্য ইনি। এর আগে সিগারেট পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে দুবাই থেকে ১১ মার্চ দেশে ফিরেছিলেন তিনি। তাঁর নাম সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকায় প্রথমে তার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়াই এয়ারপোর্ট থেকে চম্পক দেন তিনি।
এরপর ১৯ মার্চ করোনার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এর মধ্যে আনুমানিক ১৪০০ জনের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি বলে জানা যাচ্ছে। কালিকাট বিমানবন্দর থেকে নেমে সোজা বাড়ি যান নি তিনি। একটি হোটেলে ছিলেন, দুই বার এয়ারপোর্ট চত্বরেও গিয়েছে। সকালে এলেও রাতের ট্রেনে প্রথমে কাসারগোড ও পরে এরিয়ালে যান তিনি। পুলিশের অনুমান ১১ মার্চ সারা দিনে নিজের গ্যাংয়ের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সন্দেহভাজন ব্যক্তি।
কাস্টমস ডিপার্টমেন্টের এগারোজন অফিসারকে সতর্কতা হিসাবে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কিন্তু কত লোকের সংস্পর্শে এসেছিলেন এই ব্যক্তি, তা বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পরেই জানা যাবে।