প্রথম থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা বন্ধ করার কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এবার সুপ্রিম কোর্টেও একই অবস্থান নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সোমবার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মন্তব্য করেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা বন্ধ করা দরকার।
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে বাসে ঠেসে-ঝুলে ভিটের পথে শ্রমিকরা
যেভাবে গত কয়েকদিন ধরে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত ধরে বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন হাজার হাজার শ্রমিক। তা সমাধানের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবী রশমি বনসল ও অনুজ গুপ্ত। দুই আইনজীবীর বক্তব্য, শ্রমিকদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তা তাঁদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে আশঙ্কা উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। একইসঙ্গে শুদ্ধিকরণের আগে শ্রমিকদের যেতে না দেওয়ার আর্জি জানান।
আরও পড়ুন : লকডাউন অমান্য করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের, সুরাতে গ্রেফতার ৯৩
যদিও প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ করছে। তাই তাতে নাক গলিয়ে পুরো বিষয়টি জটিল করে তুলতে চায় না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বোবদে বলেন, 'আমার মনে হয়, সরকার কিছু পদক্ষেপ করছে। যা নিয়ে সরকার ইতিমধ্যে (পদক্ষেপ) করছে, নির্দেশ জারি করে তা ঘোরালো করতে চাই না।'
আরও পড়ুন : লকডাউনের সময় 'গুরুতর গাফিলতি', সাসপেন্ড দিল্লির দুই IAS অফিসার,শো-কজ আরও ২ জনকে
আবেদনকারীরা আর্জি করেন, যাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন, তাঁদের কাউন্সেলিং করা হোক যাতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন। প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বোবদে বলেন, 'ভাইরাসের থেকে বড় সমস্যা হল এই ভয় ও আতঙ্ক।'
আরও পড়ুন : আজব শুদ্ধিকরণ! পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর কেমিক্যাল স্প্রে করল যোগীর প্রশাসন
এদিকে, আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তবের একটি পিটিশনে পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।