অতিরিক্ত ওজনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। এই কারণে ব্রিটেনবাসীকে খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিলেন সে দেশের কনিষ্ঠ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শরীরের অস্বাভাবিক বেশি ওজন বিপদ ডেকে আনে যখন-তখন। রক্তচাপ, হৃদরোগ, লিভার, কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যা তো রয়েছেই, এমনকি তার জেরে করোনাভাইরাস সংক্রমিতদের মৃত্যু ঘনাতে পারে। সোমবার এই বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করে ব্রিটেনের জুনিয়র হেল্থ মিনিস্টার হেলেন হোয়্যাটলি আবেদন জানিয়েছেন, ‘প্রাণ বাঁচাতে দয়া করে দৈনিক খাবারের পরিমাণে কাটছাঁট করুন।’
হোয়্যাটলির মতে, যাঁদের দেহ ভর সূচি বা বডি মাস ইন্ডেক্স-এর গণনা ৪০, তাঁদের ক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেশি। এই বিষয়ে ব্রিটেনবাসীকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি দেশের মানুষের ক্রমবর্ধমান ওজন সমস্যা সমাধানের উদ্দেশে হাবিজাবি খাবার অর্থাৎ জাঙ্ক ফুডের উপরে বেশ কিছু কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটিশ প্রশাসন। অতিরিক্ত ওজনের কারণে করোনাভাইকরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার বাড়ছে বলেও উদ্বিগ্ন বরিস জনসন সরকার।
নয়া নিষেধাজ্ঞায় টিভি ও ইন্টারনেটে রাত ৯টার আগে অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ, চিনি বা নুন সমৃদ্ধ খাবারের বিজ্ঞাপন সোমবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ও সামাজিক চিকিৎসা বিভাগ। সেই সঙ্গে একটি খাদ্য সামগ্রী কিনলে আর একটি বিনামূল্যে দেওয়ার বিজ্ঞাপনী চমকের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে প্রশাসন।
এ ছাড়া, বিপণি ও রেস্তোরাঁয় খাদ্যবস্তুর ক্যালোরি উল্লেখ করার হারও বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অ্যালকোহলজাত পানীয়ে ক্যালোরির পরিমাণও উল্লেখ করা হবে কি না, তাই নিয়ে কথা চলছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মুখ্যমন্ত্রী বরিস জনসন পর্যন্ত বলেছেন, ‘ওজনন কমানো কঠিন, কিন্তু জীবনযাপন পদ্ধতিতে সামান্য হেরফের ঘটিয়ে অনেক বেশি ফিট ও তরতাজা থাকা সম্ভব। আমরা সকলে চেষ্টা করলে নিজেদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে পারি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ অতিরিক্ত ওজনদার। প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া প্রত্যেক তিন শিশুর মধ্যে একজন অতিরিক্ত মেদবহুল।