ভিটেমুখী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের সরকারি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে রাখতে হবে। রাজ্যগুলিকে রবিবার এই নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : COVID-19 Update: সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে বাসে ঠেসে-ঝুলে ভিটের পথে শ্রমিকরা
লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কাতারে কাতারে শ্রমিক বড় শহর বা ভিনরাজ্য ছেড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে মরিয়া উঠেছে। সেগুলির মধ্যে অনেক শহর বা রাজ্যেই করোনা থাবা বসিয়েছে। ফলে শ্রমিকরা কোনওভাবে করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁরা বাড়ি ফেরার পর সেখানেও সংক্রমণ হবে। একইসঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা না হওয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কা বহুগুণে বেড়েছে।
আরও পড়ুন :Coronavirus in India: সাবধান! রাস্তায় বেরোলেই ভয় দেখাবে 'করোনা হেলমেট'
এই অবস্থায় রবিবার রাজ্যগুলির শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। সেখানে তিনি জানান, দেশের কয়েকটি প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিকরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যেন কড়া হাতে লকডাউন কার্যকর করা হয় ও সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু আপাতত যে শ্রমিকরা ইতিমধ্যে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁদের মাধ্যমে যাতে বাড়ির এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য শ্রমিকদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে টাকা-পয়সা নাড়াচাড়ায়, সতর্ক করল ‘হু’
পরে কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, 'বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অধীনে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা লাগু করার সমস্ত দায়িত্ব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের।'
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কড়া বার্তা দেওয়া হল যে স্বাভাবিক করার দায়িত্বভার তাঁদের উপর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন রাখার যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তাঁদের।
আরও পড়ুন : Covid-19 মোকাবিলায় রেল কামরায় তৈরি হল আইসোলেশন ওয়ার্ড, জোর ভেন্টিলেটর উৎপাদনে
এদিকে, এক শহর থেকে অন্য শহরে মানুষের যাতায়াতও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের খবর, ঠিক সময় বেতন-সহ শ্রমিকরা যেখানে থাকেন, সেখানের যাবতীয় আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যাঁরা পড়ুয়া ও শ্রমিকদের বাড়ি খালির কথা বলবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।