COVID-19 Update: লকডাউন তোলা সম্ভবপর নয়, সর্বদলীয় বৈঠকে বললেন মোদী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ইঙ্গিতটা আগেই মিলেছিল। বুধবার তা আরও স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সর্বদলীয় বৈঠকে জানালেন, আগামী ১৪ এপ্রিল লকডাউন তোলা সম্ভবপর নয়। ফলে আগামী মঙ্গলবার যে দেশজুড়ে লকডাউন শেষ হচ্ছে না, তাতে কার্যত সিলমোহর দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বিভিন্ন দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে যখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তখন কীভাবে করোনার মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে মোদী বলেন, 'আমি নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রী, জেলা প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছি। কেউ আমায় বলছেন না যে লকডাউন তুলে নিন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আমাদের কঠোর নিয়ম চাই। আমাদের কাছে লকডাউনই হল দেশের মানুষকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়।'

তবে লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে বিবৃতিতে মূলত করোনা রুখতে সতর্ক থাকার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যেভাবে রাজ্যগুলি কাজ করছে, তারও ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চোখ-কান খোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'সামাজিক জরুরির মতো পরিস্থিতি। তার জেরে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়েছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, একাধিক রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন।' একইসঙ্গে মোদী বলেন, 'এখনও পর্যন্ত যে কটা হাতেগোনা দেশ করোনার সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, তার মধ্যে রয়েছে ভারত।'

ভিডিয়ো কনফারেন্সের পর অবশ্য বিরোধী দলনেতারা লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, 'করোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে পারে সরকার।' এদিকে, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিজেডির পিনাকী মিশ্র বলেন, 'মোদী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ১৪ এপ্রিলের পর একেবারে একধাক্কায় লকডাউন উঠবে না।' কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজির ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ছিলেন।

এদিনের বৈঠকে মোদী জানান, করোনার পর জীবন পালটে যাবে। আগে যে জীবন ছিল, করোনার প্রকোপের পর তা আর থাকবে না। করোনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী জীবন হবে। তিনি বলেন, 'বড়সড় আচরণগত, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পরিবর্তন হবে।' পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, 'এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মসংস্কৃতি ও কাজের ধরণেও একইসঙ্গে পরিবর্তন আনা উচিত।'