কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদ ১৪ দিন বেঁধে দিয়েছে সিআরপিএফ। তবে বাহিনীর স্বাস্থ্য বিভাগ আলাদা একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে, পাঁচদিন পর যদি উপসর্গ দেখা না যায়, তাহলে চিকিৎসক ও প্যারামেডিকসদের কোয়ারেন্টাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : ১০০% লাল দিল্লি, রেড জোনের সংজ্ঞা বদলাতে কেন্দ্রকে অনুরোধ জানাবে কেজরিওয়াল সরকার
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এপ্রিলের গোড়ার দিকে জারি হওয়া সেই নির্দেশিকা সম্প্রতি আধাসামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের নজরে এসেছে। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে দিল্লির ময়ূরভঞ্জ ফেজ - থ্রি'তে অবস্থিত সিআরপিএফের ৩১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের যে ১৩৫ জন জওয়ান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রাথমিক উৎস হিসেবে এক কনস্টেবলের (নার্সিং অ্যাসিসট্যান্ট) নাম ভেসে আসছে বলে জানিয়েছে পিটিআই। তিনি রাজধানীতে নিজের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে সেই ব্যাটেলিয়নে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : Lockdown Extended- অফিস যেতে চান? আগে ডাউনলোড করুন আরোগ্য সেতু অ্যাপ
তার আগে ওই জওয়ান জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় অন্য একটি ব্যাটেলিয়নে ছিলেন। তবে কীভাবে তিনি করোনার কবলে পড়লেন, তা পরিষ্কার নয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কয়েকজন জওয়ানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, অন্য কোনও উপসর্গহীন জওয়ানও প্রাথমিক উৎস হতে পারেন। আপাতত বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে সিআরপিএফ। একইসঙ্গে ওই নার্সিং অ্যাটেনডেন্টকে ক্যাম্পে কড়া কোয়ারেন্টাইনের আওতায় রাখা হয়নি বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তাও বিবেচনা করা হচ্ছে। ওই অংশের দাবি, কড়া নজরদারির অভাবে ক্যাম্পে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : Lockdown 3.0: সোমবার থেকে গ্রিন-অরেঞ্জ জোনে খুলবে সেলুন, ডেলিভারি মিলবে ই-কমার্সের সব পণ্যের
গত কয়েকদিনে ওই ব্যাটেলিয়নের ১৩৫ জন জওয়ানের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ৫৫ বছরের এক সাব-ইন্সপেক্টরের মৃত্যুও হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুত এক আধিকারিক বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ক্রমশ আসছে। ১০-১২ দিনে ১৩৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অধিকাংশই উপসর্গহীন ছিলেন।’ ২২ জনের রিপোর্ট এখনও আসেনি। বাকিদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। জওয়ানরা মান্দোলিতে দিল্লি সরকারের আইসোলেশন কেন্দ্রে ভরতি আছেন।
আরও পড়ুন : Lockdown 3.0: দু'দিন পর থেকেই চলবে ট্যাক্সি ও অ্যাপ ক্যাব