ধনীদের উপর বাড়তি কর চাপানো হোক। বসানো হোক Covid-19 সেস। বহুজাতিক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে বাড়ানো হোক সারচার্জ। করোনাভাইরাসের জেরে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রকে এরকম বিভিন্ন পরামর্শ দিল ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (আইআরএস) প্রায় ৫০ জন আধিকারিক।
আরও পড়ুন : Old Tax Rate vs New Tax Rate: চাকুরিজীবী হোন বা ব্যবসায়ী-কোন কর কাঠামো বাছবেন, জেনে নিন
'ফোর্স' (FORCE অর্থাৎ ফিসকাল অপশন অ্যান্ড রেসপন্স টু Covid-১৯ প্যানডেমিক) নামে সেই পরামর্শগুলি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেসের (সিবিডিটি) কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই আধিকারিকদের মতে, মহামারীর ফলে যে সংকট তৈরি হয়েছে, সংক্ষিপ্ত ও মধ্যবর্তী সময়ে তার মোকাবিলার জন্য সরকারকে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের উপর জোর দিতে হবে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এরকম সময় 'অত্যন্ত ধনী'-দের (সুপার রিচ) উপরও বিশেষ দায় বর্তায় বলে মত আধিকারিকদের। অন্যান্যদের তুলনায় আয় অনেক বেশি হওয়ায় তাঁদের ব্যয়ের ক্ষমতাও বেশি। কেন্দ্র ও নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগের জন্য ধনীদের হাতে ওই পরিমাণ অর্থ রয়েছে। অধিকাংশ উচ্চ-আয়বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সাময়িক ধাক্কা কাটানোর মতোও তাঁদের কাছে সংস্থান আছে। সেজন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁদের উপর দুটি বিকল্প উপায়ে কর চাপানোর পরামর্শ দিয়েছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : নয় স্টক ফার্ম ও ২৯ বিমা সংস্থাকে আধার যাচাইকরণ পরিষেবায় অনুমতি কেন্দ্রের
তাঁদের মতে, যে ব্যক্তিদের আয় এক কোটির বেশি, তাঁদের ন্যূনতম কর ৪০ শতাংশ করা হোক। বা যাঁদের পাঁচ কোটি ও তার বেশি মূল্যের সম্পত্তি আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সম্পত্তি কর ফিরিয়ে আনা হোক। পেপারে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিকভাবে প্রথম উপায়টি রূপায়ণ বেশি সহজ। তবে দুটি উপায়ের সঙ্গেই কত টাকা আসবে, তা বিচার করা উচিত। যাতে বিশ্লেষণের ভিত্তিতে দ্বিতীয় উপায়ে আয় বেশি কিনা, তা বোঝা যায়।
আরও পড়ুন : Covid-19 news: সংক্রমণকালে কী ভাবে এসি ব্যবহার করবেন, জানাল কেন্দ্র
পাশাপাশি, উচ্চ আয়বিশিষ্ট যে বিদেশি সংস্থাগুলির ভারতে শাখা বা স্থায়ী অফিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সারচার্জ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেকদিন ধরেই সেই সারচার্জের অঙ্ক বাড়ানো হয়নি। আধিকারিকদের মতে, যেহেতু ওই সংস্থাগুলি এখান থেকে মুনাফা পাচ্ছে এবং তাদের সামনে ভারতের ক্রমবর্ধমান বাজারের সুযোগ রয়েছে, তাই তাদের ক্রেতাদের দিকটিও বিবেচনা করা উচিত। ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপগুলি অত্যন্ত কার্যকরী হয়েছিল। বিষয়টি আরও সহজ করা ও বৈধতা বাড়ানোর জন্য সেই অর্থটি আলাদাভাবে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন : ITR form revised- করোনার জেরে পিছিয়েছে সময়সীমা, নয়া আইটিআর ফর্ম দেবে CBDT
এছাড়াও Covid রিলিফ সেসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সারচার্জের তুলনায় সেসের ক্ষেত্র অনেক বড়। কারণ প্রত্যেক করদাতাকে সেস দিতে হয়। তার ফলে সরকারের কোষাগারে বাড়তি রাজস্ব ঢুকবে বলে ধারণা। বর্তমানে চার শতাংশ (দু'শতাংশ স্বাস্থ্য সেস, বাকিটা শিক্ষাখাতে সেস) সেস দিতে হয়। করোনা মোকাবিলায় এককালীন বাড়তি চার শতাংশ সেস ধার্ষ করলে মূলধনী বিনিয়োগের পক্ষে সহায়ক হবে বলে মত ওই আধিকারিকদের। সরকারের ঘরে ১৫,০০০-১৮,০০০ কোটি টাকা ঢুকবে। তবে মধ্যবিত্তদের উপর থেকে চাপ কমাতে যাঁদের বার্ষিক আয় ১০ লাখের বেশি, তাঁদের থেকে বাড়তি সেস আদায়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : করোনা সংকটের মাঝেও কাশ্মীরে প্রবেশের অপেক্ষায় ২৩০ পাক সন্ত্রাসবাদী