দেশের ৫৬ শতাংশ জেলায় কমপক্ষে একজন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। একইসঙ্গে দেশের অধিকাংশ মূল অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী এলাকাগুলিতে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি ধরা পড়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের বাণিজ্য বিষয়ক প্রকাশন মিন্টের বিশ্লেষণে এরকম তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: ডায়াবিটিস আছে? করোনার প্রকোপের মধ্যে কী করবেন, জেনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ
https://howindialives.com/ ৭১৭ টি জেলার যে তথ্য সংগ্রহ করেছিল, তা বিশ্লেষণ করেছে লাইভ মিন্ট। এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের নিরিখে জেলাগুলিকে চারটে ভাগে ভাগ করা হয়েছে - লাল, কমলা, হলুদ ও সবুজ। যে জেলাগুলিতে ১০০-র বেশি আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিকে লাল জোনে রাখা বয়েছে। যে জেলাগুলিতে ২০-১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, সেগুলি কমলা জোনে রয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০-র নীচে থাকা জেলাগুলিকে হলুদ জোনে রাখা হয়েছে। যে জেলাগুলিতে করোনামুক্ত, সেগুলি রয়েছে সবুজ জোনে।
তথ্য বিশ্লেষণ থেকে দেখা গিয়েছে, প্রায় সবকটি লাল জোনভুক্ত জেলা (প্রায় ২০টি) শহরাঞ্চল। দিল্লি-সহ একাধিক মহানগরী ও অর্থনৈতিক হটস্পট শহর লাল জোনে রয়েছে। যেমন - কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, আমদাবাদ, পুণে, জয়পুর, ভোপাল, ইন্দোর, কোয়েম্বাটুরের মতো জেলাগুলিতে করোনার থাবা সবথেকে বেশি। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৬৭ শতাংশের হদিশ ওই লাল জোনভুক্ত জেলাগুলিতেই পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0-ফের আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হবে, বললেন নির্মলা, ২০ এপ্রিল খুলছে ৪৫% ব্যবসা
এছাড়াও ৮৭ টি জেলা কমলা জোনে রয়েছে। হলুদ জোনে ঠাঁই পেয়েছে ২৯২ টি জেলা। বাকি ৩১৮ টি জেলায় কোনও করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। অর্থাৎ সবুজ জোনে রয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, সবুজ জোনে যে জেলাগুলি আছে, সেগুলি লাল জোন আওতাভুক্ত জেলার থেকে অনেক গরীব।