আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে অবস্থা এবং করোনাভাইরাস পরীক্ষার নীতি নিয়ে হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল গুজরাত সরকার। তারপর বিজেপি শাসিত রাজ্যের কিছুটা মুখরক্ষার চেষ্টা করলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল। তিনি জানালেন, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য কতটা পরিশ্রম করেছে, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত গুজরাতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হাইকোর্টে প্রবল ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বিজেপি সরকার। রাজ্যের করোনা পরীক্ষার নীতিকে করোনার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কৃত্রিম উপায় হিসেবে মন্তব্য করে গুজরাত হাইকোর্ট। তিরষ্কার করে হাইকোর্ট জানায়, অন্ধকূপের থেকেও খারাপ আমদাবাদ সিভিল হাসপাতাল এবং সেখানকার রোগীদের অবস্থা পীড়াদায়ক, বেদনাদায়ক এবং ভয়ানক।
তা নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটেল বলেন, ‘গুজরাত হাইকোর্ট কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে, কয়েকটি নির্দেশিকা দিয়েছে, কয়েকটি পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে এবং কিছু মতামত দিয়েছে। অ্যাডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তারপর রিপোর্ট জমা দেবে রাজ্য সরকার।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কতবার আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে গিয়েছেন, হাইকোর্টের সেই প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘হাইকোর্টে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা নিয়ে বলতে চাই যে গত দু'মাসে আমি শহরের সিভিল হাসপাতালে পাঁচবার গিয়েছি। আমার বয়স ৬৪ এবং আমি প্রবীণ নাগরিক হওয়ায় আমায় বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও গত ৫৫ দিন ধরে আমি কোনও বিরতি ছাড়াই কাজ করেছি।’
পাশাপাশি মন্ত্রীর দাবি, করোনা মোকাবিলায় অনেক শয্যা, ওষুধ, চিকিৎসার সামগ্রী, পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই)-সহ যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। লকডাউনও কঠোরভাবে লাগু করা হয়েছিল।