একটি জমায়েযতের মাসুল কতটা গুনতে হয়েছে, তা আগেই জানানো হয়েছিল। এবার পরিসংখ্যান দিয়ে সেই ভয়াবহ ছবিটা আরও স্পষ্টভাবে করল কেন্দ্র। জানানো হল, দেশের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের প্রায় ৩০ শতাংশেরই তবলিগি জামাতের যোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন :COVID-19 Updates: দেশের ৪৫ জেলায় ১৪ দিন হদিশ মেলেনি করোনা আক্রান্তের, তালিকায় রাজ্যের দুই
গত মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিনের সেই জমায়েতের পর থেকে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। একাধিক রাজ্যে সংক্রামিতের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেই তবলিগির জমায়েতের প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন যোগের হদিশ মিলেছে। এমনকী শনিবার উত্তরাখণ্ডে এক ন'মাসের শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার বাবা দিল্লির জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : কাশ্মীর ছেড়ে পালানোর ২৫ বছর পরে আফগানিস্তানে ধরা পড়ল IS সন্ত্রাসবাদী এজাজ
এরপর শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দেশের মোট করোনা আক্রান্ত ১৪,৩৭৮ জনের মধ্যে (সাংবাদিক বৈঠকের সময় ছিল) ৪,২৯১ জনের মার্কাজ (তবলিগি জামাতের সদর দফতর) যোগ রয়েছে। যা প্রায় ৩০ শতাংশ। মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, '২৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই (জামাত) যোগে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মূলত তামিলনাড়ু, দিল্লি, তেলাঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে রোগের প্রকোপ বেশি। ওই রাজ্য়গুলি করোনা আক্রান্তের নিরিখে প্রথম দশে রয়েছে। তামিলনাড়ুতে ৮৪ শতাংশ, দিল্লিতে ৬৩ শতাংশ, তেলাঙ্গানায় ৭৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৯ শতাংশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের ৬১ শতাংশ কেসের এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যোগ রয়েছে।'
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: যে তেরো কাজ করতে পারবেন না তেসরা মে পর্যন্ত..
পাশাপাশি, যে রাজ্যগুলিতে করোনার প্রভাব কম, সেখানেও তবলিগি জামাত যোগে সংক্রামিতের হদিশ মিলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, 'অরুণাচলে একটি কেস পাওয়া গিয়েছে। তা এই অনুষ্ঠান যোগেই। অসমের ৩৫ কেসের মধ্যে ৩২ টির ক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠানের যোগ রয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ১২ জনের মধ্যে ১০ জন করোনা আক্রান্তের এই অনুষ্ঠানের যোগ রয়েছে।' তিনি জানান, তবলিগির জমায়েতের বিষয়টি নির্দিষ্ট করে বলার কারণ একটাই - লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের বিধি না মানলে কী পরিমাণ হতে পারে, তার প্রমাণ এটাই। সেজন্য লকডাউন মানার আর্জিও জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব।