দেশের দুই প্রজাতির বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাস মিললেও আশঙ্কার কিছু নেই। এমনটাই জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। তাদের বক্তব্য, ওই ভাইরাস মানবদেহে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারবে না।
আরও পড়ুন :COVID-19 Updates: দেশের ১৭০ জেলা হটস্পট, তামিলনাড়ুতে সর্বাধিক, রাজ্যের চার
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা ও সংক্রামক রোগের প্রধান রমন আর গঙ্গাখেদকর বলেন, 'যে সংক্রামক রোগগুলি উঠে আসছে, তার উপর আমরা একটি সমীক্ষা চালু করেছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম, ওই ভাইরাসগুলি বাদুড়ের দেহে পাওয়া যায় কিনা। আমরা দুটি বাদুড়ের প্রজাতিতে বাদুড় করোনাভাইরাসের (BtCov) উপস্থিতি পেয়েছি। তবে মানুষের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলার ক্ষমতা নেই সেগুলির। এই করোনাভাইরাসের সঙ্গে SARS-CoV2-এর কোনও সম্পর্ক নেই। যা করোনা মহামারীর জন্য দায়ী।'
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: 'উপসর্গ ছাড়াই ভাইপো ও আমার রিপোর্ট পজিটিভ', জানালেন শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্ত
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে, কেরালা, হিমাচল প্রদেশ, পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুর দুটি বাদুড় প্রজাতির (পি. মেডিয়াস ও রুসেটাস) দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। সেই গবেষণার প্রথম লেখক তথা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভায়োরালজির গবেষক প্রজ্ঞা ডি যাদব জানান, এরকম কোনও প্রমাণ বা গবেষণা নেই, যেখানে দাবি করা হয়েছে বাদুড়ের করোনাভাইরাস মানুষের রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: যে তেরো কাজ করতে পারবেন না তেসরা মে পর্যন্ত..
পাশাপাশি বুধবার গঙ্গাখেদকর জানান, চিনের গবেষণা অনুযায়ী, COVID-19 হল বাদুড়ের ভাইরাসের রূপান্তরিত সংস্করণ। যা মানুষের দেহে রোগ তৈরির করার ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। বা অপর একটি সম্ভাবনা হিসেবে বলা হয়েছে, ওই ভাইরাস বাদুড়ের দেহ থেকে প্যাঙ্গোলিনে গিয়েছে। তারপর তা মানবদেহে এসেছে। তবে গঙ্গাখেদকর জানান, বাদুড় থেকে মানবদেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়তো হাজার বছরে একবার হয়। যখন কোনও ভাইরাস প্রজাতি পালটায়। তাঁর কথায়, 'এটা অত্যন্ত বিরল ঘটনা।'