করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আরও পরিকল্পনামাফিক এগোতে চাইছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় দেশের সব জেলাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক করোনা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট জেলায় কী পদক্ষেপ করা হবে, তা ঠিক করা হবে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কোন জেলাগুলিকে হটস্পট ঘোষণা করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য নির্দিষ্ট মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনটি মাপকাঠি রাখা হয়েছে। একটি হল - দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৮০ শতাংশের বেশি কেস সংশ্লিষ্ট জেলায় পাওয়া গিয়েছে। অথবা কোনও রাজ্যের ৮০ শতাংশ আক্রান্ত যদি সংশ্লিষ্ট জেলার হন বা চারদিনের কমে যদি সেই জেলার করোনা সংক্রামিত সংখ্যা দ্বিগুণ হয়, তাহলে ওই জেলাটিকে হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
যে জেলাগুলি হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ আটকানোর জন্য কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কড়া নজরদারি চালানো হবে। সেক্ষেত্রে কীভাবে লাল জোন (রেড জোন) অর্থাৎ হটস্পট থেকে কোনও জেলা সবুজ জোনে (গ্রিন জোন) যেতে পারে, তাও জানিয়েছে কেন্দ্র।
দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, কোনও হটস্পট জেলায় শেষ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর ১৪ দিনের মধ্যে নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের হদিশ না পেলে সেই জেলার একধাপ উন্নতি হবে। অর্থাৎ কমলা জোনে আসবে। একইভাবে ওই জেলায় পরবর্তী ১৪ দিন নতুন করে কোনও করোনার আক্রান্তের হদিশ না পেলে জেলাটি সবুজ জোনে আসবে। অর্থাৎ হটস্পট থেকে সবুজ জোনে আসার শর্ত হল, সেই জেলায় টানা ২৮ দিন নতুন করে কেউ করোনার কবলে পড়বেন না।