ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যে দেশের অর্ধেকের বেশি জেলায় থাবা বসিয়েছে তা। আগামীদিনে করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন : আশেপাশে করোনা আক্রান্ত কেউ আছেন কিনা বলে দেবে Aarogya Setu-কীভাবে ব্যবহার করবেন এই অ্যাপ
দেশের মধ্যে কেরালায় প্রথম করোনাভাইরাস থাবা বসালেও তা ধীরেধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাল বিস্তার করেছে। উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে দক্ষিণ তামিনলাড়ু, পশ্চিমে মহারাষ্ট্র থেকে পূর্ব পশ্চিমবঙ্গ - সর্বত্রই করোনার প্রভাব পড়েছে। প্রাথমিকভাবে অবশ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। পরে উত্তর-পূর্বেও থাবা বসিয়েছে করোনা। আজই যেমন নাগাল্যান্ডে এক আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরেও করোনার জাল পৌঁছে গিয়েছে।
সব রাজ্যে অবশ্য করোনার দাপট একইরকম নয়। এখনও পর্যন্ত দেশের কয়েকটি প্রান্তেই করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫০ টি জেলায় দেশের ৭০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যেমন- মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে করোনার ভয়াবহতা অনেক বেশি। মহারাষ্ট্রে আজ সকাল পর্যন্ত ২,০৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১,৪০০ জনই মুম্বই পুরনিগম এলাকার বাসিন্দা। দিল্লির ক্ষেত্রেও কয়েকটি এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি। কেরালায় সংক্রমণের হার কমলেও কাসারগড়ে করোনার ভয়াবহতা সবথেকে বেশি। যা করোনার অন্যতম হটস্পট ছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হটস্পটগুলি আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: ডায়াবিটিস সত্ত্বেও সংকল্প-ইচ্ছা শক্তিতে করোনা মুক্তি:কালিম্পঙে মৃত মহিলার ভাশুর
শুধু আক্রান্তের সংখ্যা নয়, মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে করোনায় ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটা থেকে ৮৪ ঘণ্টায় ১৩৭ জন করোনায় শিকার হয়েছেন। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রশাসনের। মহারাষ্ট্রেই শুধুমাত্র ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৭.৫ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও সেখানে মৃত্যুর হার বেশি - প্রায় ৬.৩ শতাংশ।