আজ, সোমবার থেকে দেশের চার রাজ্যের মোট ৮টি জেলায় কোভিড ভ্যাক্সিন ড্রাই রান অর্থাৎ টিকাকরণ কর্মসূচির মহড়া শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ ও আগামিকাল পঞ্জাব, অসম, অন্ধ্র প্রদেশ ও গুজরাতের দুটি করে জেলায় এই মহড়া চলবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘আগামী বছরে Covid-19 টিকাকরণের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার সম্পাদনের পথে কোনও বাধা আসে কি না খতিয়ে দেখতে ভ্যাক্সিন ড্রাই রান শুরু হয়েছে। মহড়ায় ভ্যাক্সিন প্রয়োগ ছাড়া বাকি সব কিছু চালু রাখা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাক্সিনের মহড়ার জন্য প্রতি জেলায় ৫টি টিকাকরণ কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। ড্রাই রান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কোল্ড স্টোরেজে টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহ ক্ষেত্রে পরিবহণ ব্যবস্থা, টিকাকরণ কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদায়ক-সহ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত সব কর্মীদের ভূমিকা যাচাই করে নেওয়া।
লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, টিকাকরণের পরে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সংলগ্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবাগত দিকটিও। সেই সঙ্গে খুঁটিয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে, টিকাকরণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে কি না, তা-ও।
গত পাঁচ মাস ধরে সম্ভাব্য কোভিড ভ্যাক্সিন সরবরাহ ব্যবস্থা নিখুঁত করার লক্ষ্যে পুরোদস্তুর প্রস্তুতি চলেছে। পরিকল্পনা সফল করতে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একাধিক সরকারি স্তরে সহায়ক সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। মোট তিন রকম কমিটি এই বিষয়ে তৈরি করা হয়েছে- ২টি রাজ্য স্তরের কমিটি ও একটি জেলা স্তরের কমিটি। ভ্যাক্সিন সরবরাহের কাজ খতিয়ে দেখতে নিয়মিত আলোচনায় বসছে কমিটিগুলি।
পাশাপাশি, টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে মেডিক্যাল অফিসার, ভ্যাক্সিনেটর, অল্টারনেটিভ ভ্যাক্সিনেটর, কোল্ড চেন হ্যান্ডলার, সুপারভাইজার, ডেটা ম্যানেজার, আশা কোঅর্ডিনেটর-সহ বিভিন্ন পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত কর্মীদের।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাক্সিন সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২৯,০০০ কোল্ড চেন পয়েন্ট, ২৪০টি ওয়াক-ইন কুলার, ৭০টি ওয়াক-ইন ফ্রিজার, ৪৫,০০০ আইস-লাইনড রেফ্রিজারেটর, ৪১,০০০ ডিপ ফ্রিজার এবং ৩০০টি সোলার রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করবে।