এখনও সম্পূর্ণ হয়নি ট্রায়াল, এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে Covid-19 টিকা দিল চিন। শুধু তাই নয়, এ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের চোখে ধুলো দিতে তাঁদের দিয়ে সই করানো হল বিশেষ গোপনীয়তা রক্ষা চুক্তি।
জনসংখ্যার ঝুঁকিবহুল অংশ, সরকারি কর্মী, শিক্ষক ও ভ্যাক্সিন উৎপাদক সংস্থার কর্মীদের আপৎকালীন ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভ্যাক্সিন প্রয়োগের আগে তাঁদের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আত্মপক্ষ সমর্থনে চিন সরকার জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক টিকাদানে সম্মতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। জুলাই মাসে টিকাদান অভিযান শুরুর আগে গত জুন মাসে সংস্থার অনুমোদন নিয়েছিল বলে দাবি করেছে বেজিং।
WHO-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, চূড়ান্ত ট্রায়াল রিপোর্ট ছাড়াও বর্তমান জরুরি পরিস্থিতিতে নিজের সার্বভৌম অঞ্চলে সাময়িক সমাধান হিসেবে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে পারে যে কোনও দেশ।
প্রসঙ্গ, বর্তমানে চিনের ১১টি Covid-19 ভ্যাক্সিন ক্নিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে এবং ৪টি ভ্যাক্সিন পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভ্যাক্সিন তৈরি করেছে চিন সরকারের অধীনস্থ চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ এবং অন্যটির উৎপাদক চিনের সাইনোভ্যাক বায়োটেক। তৃতীয় একটি ভ্যাক্সিন তৈরিকরেছে ক্যানসাইনো বায়োলজিকস, যা গত জুন মাসে শুধুমাত্র চিনা সেনাবাহিনীতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছিল।