মানবদেহে Covid-19 ভ্যাক্সিন ‘কোভ্যাক্সিন’-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ভারত বায়োটেক সংস্থাকে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ দফতর। নীতি কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে চলতি সপ্তাহে শুরু হতে চলেছে এই পরীক্ষা।
দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিভাগের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি)। গত ৩ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে হায়দরাবাদে ভারত বায়োটেক সংস্থার প্রধান দফতরকে এই তথ্য জানিয়েছেন যুগ্ম ড্রাগ কন্ট্রোলার এস ঈশ্বর রেড্ডি।
গত জুলাই মাসের গোড়ায় ১৫ অগস্ট কোভ্যাক্সিন-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ঘোষণা করে বিতর্কের মুখে পড়ে আইসিএমআর। কোভ্যাক্সিন আদতে একটি ‘ইনঅ্যাক্টিভেটেড’ ভ্যাক্সিন যা রোগীর দেহে মৃত ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে শরীরে অ্যান্টিবডি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়ায় শরীরে প্রবেশ করাা ভাইরাস কোনও ক্ষতিসাধন করে না।
পরীক্ষার প্রতিটি পর্যায়ে ভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার মাত্রা লক্ষ্য করা হয়। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় সুস্থ দেহে টিকা প্রয়োগের নিরাপত্তার দিকটি দেখা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে দেখা হবে টিকার কার্যকারিতা। তৃতীয় পর্যায়ে আগের দুই পর্যায়ের বিষয়গুলিই বৃহত্তর জনসংখ্যার উপর প্রয়োগের দিকটি দেখা হবে।
কোভ্যাস্কিন-এর প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ১২টি জায়গার প্রায় ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবী যোগ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এই ভ্যাক্সিনকে জাইডাস ক্যাডিলা ও সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিনের পরেই স্থান দিতে চলেছে।