রাশিয়ার তৈরি Covid-19 ভ্যাক্সিন স্পুটনিক ভি-এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ডক্টর রেড্ডি’জ ল্যাবরেটরি সংস্থার আবেদন নামঞ্জুর করল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এখনও পর্যন্ত বিদেশে অতি অল্প সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবীর উপরে এই ভ্যাক্সিন পরীক্ষা করা হয়েছে বলেই অনুমোদন দিতে অস্বীকার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড ভ্যাক্সিন তৈরির ঘোষণার পরে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায় পরিচালনা ও পরে তা সরবরাহের স্বত্ত্ব অধিকারের উদ্দেশে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারতীয় সংস্থা।
ইতিমধ্যে তড়িঘড়ি বাজারেল ছাড়ার কারণে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও আভাস দিয়েছেন যে, ডক্টর রেড্ডি’জ ল্যাবরেটরিকে ভারতে রুশ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্য দিকে, রাশিয়ায় স্পুটনিক ভি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্ব গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে।
ডক্টর রেড্ডি’জ-এর প্রস্তাব পর্যালোচনাকারী কমিটি জানিয়েছে, ‘খুঁটিয়ে বিশ্লেষণের পরে কমিটি জানাচ্ছে যে, সমস্ত নিয়মাবলী মেনে দেশে ওই ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করা উচিত।’
এই কারণে বড় মাপের ট্রায়ালের আগে ভ্যাক্সিনের ছোট ট্রায়ালের ব্যবস্থা করতে পরামর্শদেওয়া হয়েছে ভারতীয় সংস্থাকে।
ভারতে এই মুহূর্তে তিনটি কোভিড ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার তৈরি ভ্যাক্সিন ভারতে উৎপাদন করছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। বর্তমানে এই টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছে।
অন্য দিকে, ভারত বায়োটেকের সঙ্গে আইসিএমআর-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাক্সিনেরও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছে। পাশাপাশি, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি টিকাও ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।