ভারতের প্রত্যন্ত প্রান্তে কোভিড ভ্যাক্সিন পৌঁছে দেবে বায়ুসেনার বিশাল বিমানবহর। রবিবার এমনই খবর জানা গিয়েছে ওয়াকিবহাল সূত্রে।
সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীকে ভ্যাক্সিন সরবরাহ ও বণ্টনে সহায়তার জন্য কোনও স্বীকৃত অনুরোধ করা হয়নি। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, দেশজুড়ে কোটি কোটি ডোজ টিকা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা নিঃসন্দেহে রয়েছে বায়ুসেনার।
ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানবহরে রয়েছে এগারোটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার হেভি-লিফ্ট বিমান, যার প্রতিটি ৭৫ টন মাল বহনে সক্ষম। এ ছাড়া রয়েছে সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান, যার সর্বোচ্চ মাল বহন ক্ষমতা ১৯ টন। তা ছাড়াও রয়েছে আইএল-৭৬ ও এএন-৩২ এর মতো বেশ কিছু শক্তপোক্ত মাল বহনকারী বিমান। সূত্রে খবর, প্রয়োজনে ডর্নিয়ারের মতো ছোট বিমান এবং হেলিকপ্টারের সাহায্যেও দুর্গম স্থানে টিকা পৌঁছে দিতে পারে বায়ুসেনা।
সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ এলে কী ভাবে দেশের দূর-দূরান্তে কোভিড প্রতিষেধক টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে, তাই নিয়ে সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আগেই তৈরি রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ২৮,০০০টি কোল্ড স্টোরেজ থেকে ভ্যাক্সিন বয়ে নিয়ে দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিতে হবে বাহিনীকে। একই সঙ্গে নজর রাখতে হবে, এর ফলে ভ্যাক্সিনের কার্ষক্ষমতা যেন হ্রাস না পায়।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিশেষ বাক্সে ভ্যাক্সিন নিয়ে যাওয়া হবে এবং তার জন্য কোনও বিমানের নকশায় পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না।
প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি চিনা সেনার মোকাবিলায় লাদাখ সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে হাজার হাজার সৈন্য এবং তাঁদের সঙ্গে কয়েক হাজার টন জ্বালানি, খাদ্য সামগ্রী, অস্ত্রশস্ত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথাযথ পৌঁছে দিয়েছে বায়ুসেনা।
শুধু তাই নয়, দেশে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রে মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার। এমনকি নোটবন্দির সময় টন টন মুদ্রার নোট এবং নির্বাচনের সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইভিএম পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালনেও সাফল্যের প্রমাণ রেখেছে বায়ুসেনা।