মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেল পুনের জেনোভা এবং আমেরিকার এইচডিটি বায়ো সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভারতের প্রথম এমআরএনএ (mRNA) করোনাভাইরাস প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন।
বুধবার এক বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। ভ্যাক্সিনটি চিহ্নিত করা হয়েছে HGCO19 নামে।
উল্লেখ্য Covid-19 প্রতিরোধে এই নিয়ে তৃতীয় দেশে উৎপাদিত টিকার মানবশরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হতে চলেছে ভারতে। ফাইজার ও মডার্না সংস্থার তৈরি কোভিড টিকার মতোই জেনোভার টিকাও আরএনএ সংযোগ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে শরীরে প্রতিরোধ বার্তা সঞ্চার করে।
ফাইজার ও মডার্না উৎপাদিত টিকা ভারতে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ইতিমদ্যে আবেদন করেছে। কোভিড দমনে এই দুই টিকা ৯৫% সফল, তা এর আগেই প্রমাণিত হয়েছে।
জেনোভার তৈরি কোভিড টিকা ইতিমধ্যে পশুদেহে তার নিরাপত্তা, প্রতিরোধ শক্তি ও ভাইরাস নাশক অ্যান্টিবডি উৎপাদনের প্রমাণ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, দেহকোষের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে বলে এই টিকা বেশি মাত্রায় কার্যকর, জানিয়েছে উৎপাদক সংস্থা।
জেনোভার তৈরি টিকার আর এক বড় সুবিধা হল, ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দুই মাস পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করা সম্ভব। ভারতে অন্যান্য রোগ প্রতিষেধক টিকা বর্তমানে এই তাপমাত্রা সীমাতেই সংরক্ষণ হয়ে থাকে।
এমআরএনএ ভ্যাক্সিন কৃত্রিম আরএনএ ব্যবহার করে, যাতে এনকোড করা নির্দেশাবলী অনুসারে করোনাভাইরাসে বাছাই করা প্রোটিন উপাদান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। তার জেরে শরীরে এই রোগ দেখা না দিয়ে জীবাণুর বিরুদ্ধে মজবুত প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে।
এই ভ্যাক্সিন আগাগোড়া কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। এর জন্য কোনও কোষ উপাদান, ব্যাক্টেরিয়া বা অন্য সহায়ক আধারের প্রয়োজন হয় না।