ভারতে কাদের আগে কোভিড ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠকের পরে এমনই অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
এ দিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, কোভিড প্রতিরোধ করতে ভারতের টিকাকরণ পরিকল্পনা বিজ্ঞানীদের সম্মতি পেলেই চালু হবে। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, এ সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।
বস্তুত, প্রথম দফায় কতজনকে কোভিড ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু এখনও জানায়নি কেন্দ্র। সম্প্রতি স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মন্তব্য করেছেন, সরকার সারা দেশে টিকাকরণের বিষয়ে কখনও কিছু বলেনি।
আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গবও জানিয়েছেন, যদি প্রচুর সংখ্যক সংক্রমিত রোগীকে চিহ্নিত করা যায় এবং তাঁদের টিকা দেওয়া যায়, তা হলে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভেঙে যাওয়ায় দেশের সবাইকে কোভিড টিকা না দিলেও চলবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্বঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ কোটি প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাকে টিকা দেওয়া হবে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, টিকারণের ক্ষেত্রে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং বিবিধ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত বর্ষীয়ান নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তাঁর দাবি, ‘ আমাদের বিজ্ঞানীরা কোভিড প্রতিষেধক তৈরির বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী এবং সফল। বাজারে নানান দেশের তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে চর্চা চলেছে, কিন্তু সবচেয়ে কম খরচের ভ্যাক্সিনের দিকে নজর রয়েছে বিশ্বের। এই কারণেই ভারতের উপরে বিশ্ববাসীর নজর থাকা স্বাভাবিক।’