ইতিমধ্যে কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর অনুমোদন মিলেছে। তবে ভারতের প্রথম 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট'-এর শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য সংশোধিত প্রস্তাব জমা দিতে পারে ভারত বায়োটেক। আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে (ডিসিজিআই) সেই প্রস্তাব জমা দেওয়া হতে পারে।
কোভ্যাক্সিনের তৃতীয পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর জন্য গত ২ অক্টোবর প্রস্তাব জমা দিয়েছিল ভারত বায়োটেক। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে মিলেছে সেই অনুমোদন। তবে তাতে কয়েকটি বিষয় পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে ডিসিজিআই।
সে বিষয়ে ভারত বায়োটেকের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে বলেন, ‘আমাদের (তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের) কয়েকটি প্রোটোকল পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে ডিসিজিআই। সেগুলি ছোটোখাটা প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন। আমরা এখন প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার কাজ করছি। আশা করছি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিডিএসিওয়ের (সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গাইজেশন) কাছে আবারও প্রস্তাব জমা দিতে পারব আমরা।’
ইতিমধ্যে কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দিয়েছে ভারত বায়োটেক। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে সম্ভাব্য টিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট'-এর প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টে গুরুতর সুরক্ষাজনিত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ইতিমধ্যে সুরক্ষাজনিত পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়ে হিয়েছে। আপাতত অনাক্রম্যতা পরীক্ষা চলছে। সেই ক্ষেত্রে টিকা প্রয়োগের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখা হয়। একইসঙ্গে চলছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রস্তুতি।
টিকার কার্যকারিতা নির্ধারণ করতে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে। দেশের ১৩-১৪ টি রাজ্যের ২৫-৩০ টি হাসপাতালে ২৬,০০০ ‘বিষয়’ নিয়ে সেই ট্রায়াল চলবে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ছিল ৩৭৫। দ্বিতীয় পর্যায়ে তা ছিল ৪০০। গত ২৯ জুন অনুমোদন পাওয়ার পর জুলাইয়ে কোভ্যাক্সিনের প্রথম দুটি পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল।
প্রসাদ বলেন, ‘তৃতীয় পর্যায়ের জন্য আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। নভেম্বরে (স্বেচ্ছাসেবকদের) নেওয়া হবে এবং ডোজ শুরু করে। তাতে টিকা ও প্লাসেবো গ্রহীতাদের দুটি ডোজ দেওয়া হবে। সংক্রমণের হার, স্থানীয়ভাবে কীভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি নিয়োগ ও জায়গা বেছে নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে। হাসপাতালপিছু ২,০০০-এর মতো বিষয় নথিভুক্ত হতে পারে।’