দেশে কতগুলি করোনাভাইরাস টিকার ট্রায়াল চলছে? কোন টিকার ট্রায়াল কত পর্যায়ে আছে? কবে তা আসতে পারে? সেই যাবতীয় তথ্যের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খুলল কেন্দ্র। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
সোমবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ১০০ বছর ইতিহাসের ইতিবৃত্ত প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কোভিড ১৯-এর টিকা সংক্রান্ত একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে। সবাই সেই পোর্টালে যেতে পারবেন। টিকার গবেষণা ও তৈরি এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। দেশে অন্যান্য টিকার বিষয়েও সেই পোর্টালে তথ্য মিলবে।’
নয়া পোর্টালে যেতে এখানে ক্লিক করুন
ভারতে আপাতত করোনার তিনটি সম্ভাব্য টিকার ক্নিনিকাল ট্রায়াল চলছে। সোমবারই পুণের স্যাসন জেনারেল হাসপাতালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ১৫০-২০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে সেই সম্ভাব্য টিকা প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের সম্ভাব্য টিকা কোভ্যাক্সিনের (COVAXIN) দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবর থেকে গোরখপুর ও লখনউয়ে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে। অন্যদিকে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন জোগাড় করছে জাইডাস ক্যাডিলা।
এদিকে সোমবার তিনি আরও জানান, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ভারতে প্রথম করোনা টিকা মিলতে পারে। এর আগে বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় একই আশাপ্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের প্রথম দিকেই দেশে করোনার টিকা পাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী কেন্দ্র। তাঁর কথায়, ‘নিজেই পুরো পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মনে রাখবে ইতিহাস। অন্যান্য দেশের মতোই ভারত চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই বিষয়টি দেখছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ভবিষ্যতের জন্যও আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছি। আমরা আশাবাদী যে আগামী বছরের শুরুর মধ্যে ভারতে টিকা পাওয়া যাবে।’