দশ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবকের উপর পরীক্ষা চলছে। সেই পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলে করোনাভাইরাস রুখতে ফাইজারের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। সোমবার এমনটাই জানাল মার্কিন সংস্থা।
জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে সেই সম্ভাব্য করোনা টিকা তৈরি করেছে ফাইজার। তাতেই করোনা মোকাবিলায় প্রাথমিক সাফল্যের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ফাইজারের চেয়ারপার্সন এবং সিইও অ্যালাবার্ট বুর্লা বলেন, ‘কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের যে প্রথম ফলাফল এসেছে, তাতে কোভিড-১৯ রুখতে আমাদের টিকার ক্ষমতার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্য সংকটকে শেষ করতে বহু আকাঙ্ক্ষিত সাফল্যের ক্ষেত্রে আমরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পা ফেলেছি।’
প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজের সাতদিন পর এবং প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর রোগীদের শরীরে সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেই ফলাফল মিলেছে। সেই সংখ্যাটা ১৬৪ না হওয়া পর্যন্ত ট্রায়াল চলবে।
আপাতত টিকা জোগানের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে চলতি বছরে ৫০ মিলিয়ন (পাঁচ কোটি) ডোজ মিলবে। পরের বছর ১.৩ বিলিয়ন (১৩০ কোটি) ডোজের জোগান দেওয়া হতে পারে। প্রত্যেকের দুটি ডোজ লাগে।
বায়োএনটেকের সিইও উঘুর সাহিন সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'আমাদের আশাবাদী হওয়া উচিত যে টিকাদানের প্রভাব কমপক্ষে এক বছর থাকবে।' তবে তিনি জানান সেই টিকার ফলে শরীরে যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে, তা কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সুস্থদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে শুরুর দিক অ্যান্টিবডির যে মাত্রা ছিল, তা একধাক্কায পড়েনি। টিকাপ্রাপ্ত মানুষের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।